ছড়ানো হচ্ছে ব্লিচিং ছড়ানো। নিজস্ব চিত্র।
পশ্চিম মেদিনীপুরের নবকলা গ্রামেই প্রথম ডেঙ্গির প্রকোপ শুরু হয়েছিল। পরে ধীরে ধীরে জেলার কম বেশি সব ব্লকেই তা ছড়িয়ে পড়ে। জেলায় এখন পযর্ন্ত ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২৭৮। বুধবার ঘাটাল ব্লকের শিলা রাজনগর গ্রামে এক সঙ্গে সাতজনের শরীরে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। আর তাতেই ঘুম ছুটেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে প্রশাসনের।
দিন কয়েক ধরে ওই গ্রামে অনেকেই জ্বরে ভুগছিলেন। আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলছিল। গ্রাম পরিদর্শনে আসেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। অসুস্থদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, “ঘাটালের ওই গ্রামে মোট ২০ জনের রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। রিপোর্টে সাতজনের শরীরে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে।” তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা গ্রামে স্বাস্থ্য শিবির খুলেছি। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। উদ্বেগের কিছু নেই।’’
দিন কয়েক আগে থেকেই ঘাটাল ব্লকের অজবনগর-২ পঞ্চায়েতের শিলা রা জনগর গ্রামে একে একে অসুস্থ হতে শুরু করেন। প্রথমের দিকে ৪৫ জন জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা গ্রামে আসেন। তড়িঘড়ি করে খোলা হয় স্বাস্থ্য শিবির। গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, “এখনও যাঁরা অসুস্থ, তাঁদের ফের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। গ্রামে প্রচার চলছে।” সরকারি নজরে আসার পর থেকেই নিয়মিত ওই গ্রামগুলিতে সরকারি ভাবে জমা জল পরিষ্কার ও পুকুরগুলিতে ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো হচ্ছে। মশারি ব্যবহার এবং খালি গায়ে যাতে কেউ না ঘোরাফেরা করেন-তার প্রচারও শুরু হয়েছে।
ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি দিলীপ মাঝি বলেন, “আমি স্বাস্থ্য দফতর ও ব্লক প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় সমস্ত রকম ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছি।” ঘাটালের মহকুমাশাসক পিনাকীরঞ্জন প্রধান বলেন, “আমরা সতর্ক। প্রচার-সহ যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নতুন করে যাতে না কেউ অসুস্থ হয়। তার দিকেও কড়া নজর দেওয়া হয়েছে।”