প্রায়ই বিদ্যুৎ বিভ্রাটে জল সরবরাহে বিঘ্ন মেদিনীপুরে

জল তোলার সময় হঠাৎ লোডশেডিং! মেদিনীপুর শহরে প্রায়ই বিদ্যুৎ বিভ্রাটে সমস্যায় পড়ছে পানীয় জল সরবরাহের মতো জরুরি পরিষেবা। পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, জল সরবরাহের দু’টি পাম্প হাউস ‘নো লোডশেডিং জোনে’র আওতায় আনার জন্য বিদ্যুৎ দফতরে আবেদন জানানো হলেও কাজ হয়নি। ক্ষুব্ধ পুর-পারিষদ (জল) মৌ রায় এ বার জেলা পরিষদের বিদ্যুত্‌ কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতির দ্বারস্থ হয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৫ ০০:১৮
Share:

জল তোলার সময় হঠাৎ লোডশেডিং! মেদিনীপুর শহরে প্রায়ই বিদ্যুৎ বিভ্রাটে সমস্যায় পড়ছে পানীয় জল সরবরাহের মতো জরুরি পরিষেবা। পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, জল সরবরাহের দু’টি পাম্প হাউস ‘নো লোডশেডিং জোনে’র আওতায় আনার জন্য বিদ্যুৎ দফতরে আবেদন জানানো হলেও কাজ হয়নি। ক্ষুব্ধ পুর-পারিষদ (জল) মৌ রায় এ বার জেলা পরিষদের বিদ্যুত্‌ কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতির দ্বারস্থ হয়েছেন। তাতেও কাজ না হলে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হবেন তিনি। মৌদেবীর কথায়, “জল সরবরাহের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবার ক্ষেত্রেও বিদ্যুত্‌ দফতরের কেন এত ঢিলেমি বুঝতে পারছি না।’’ যদিও অমূল্যবাবুর বক্তব্য, ‘‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এ বার দ্রুত পাম্প হাউস দু’টি নো লোডশেডিং জোনের আওতায় নিয়ে আসার চেষ্টা করব।’’

Advertisement

২০১১ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী মেদিনীপুর শহরে প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার মানুষের বাস। জেলার সদর শহর হওয়ায় কয়েক হাজার মানুষ রোজ নানা কাজে এখানে আসেন। শহরে দিনে প্রায় ২৪ মিলিয়ন লিটার জল প্রয়োজন। তবে চাহিদার অর্ধেক জলও সরবরাহ করতে পারে না পুরসভা। ফলে পানীয় জলের জন্য অনেকের ভরসা গভীর নলকূপ।

পুরসভা সূত্রে খবর, বর্তমানে পুরসভার ৭.২৫ গ্যালন লিটার জল মজুত করার ক্ষমতা রয়েছে। যা চাহিদার তুলনায় অতি নগন্য। কংসাবতী থেকে জল তোলার পর মেদিনীপুরের নান্নুরচকে পরিস্রুত করা হয়। রাত ৯টা নাগাদ পাইপলাইনের মাধ্যমে সেই জল ভর্তি করা হয় রাঙামাটি ও নজরগঞ্জে পুরসভার জলাধারে। সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় জল সরবরাহ। জলাধারে জল ভর্তি করা ও জল সরবরাহের সময় চালানো হয় পাম্প। তবে প্রায়ই বিদ্যুৎ বিভ্রাটে পাম্প চালানো যাচ্ছে না। বন্ধ থাকছে জল সরবরাহ। পুর-পারিষদের (জল) মতে, এক ঘণ্টা লোডশেডিং হলেই বিপদ। মানুষকে জল দেওয়া যাবে না। মৌ রায়ের কথায়, ‘‘এ নিয়ে প্রায়ই অভিযোগ আসছে। আমাদের যা পরিকাঠামো রয়েছে তা দিয়ে শহরে জলের চাহিদা অনেকটাই মেটানো যায়। কিন্তু মাঝে-মধ্যেই লোডশেডিংয়ের কারণে পানীয় জল সরবরাহে সমস্যা হচ্ছে।’’

Advertisement

সিপাইবাজারের কমল রায়ের কথায়, ‘‘কয়েকদিন হল মাঝেমধ্যেই জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে।’’ একই অভিযোগ, রাঙামাটির বিদ্যুত্‌ পালেরও। তাঁর কথায়, ‘‘প্রতিদিন শহরে মানুষ বাড়ছে। নতুন বসতি তৈরি হচ্ছে। অথচ পানীয় জল সরবরাহের পরিকাঠামোর উন্নতি তেমন দেখছি না। পুরসভায় গেলে বলছে, বিদ্যুত্‌ নেই বলে জল মিলছে না।’’ প্রশ্ন উঠছে, সামনেই পুজো। সেই সময় বহু লোক শহরে আসবেন। কোনও কারণে জল সরবরাহ বিঘ্নিত হলে সমস্যা আরও বাড়বে। পুজোর আগেই অবশ্য সমস্যা সমাধানের আশ্বাস বিদ্যুৎ দফতরের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement