অবরোধ ‘সফল’ গোপগড়ে

পুলিশ সুপার আটকাতেই তড়িঘড়ি জল

পুলিশ সুপারের নির্দেশে রাতারাতি জল পেল গোপগড়! জলের দাবিতে সোমবার গোপগড়ে মেদিনীপুর-ধেড়ুয়া রাস্তা অবরোধ করে স্থানীয়রা। অবরোধে আটকে পড়েন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৭ ০০:৪১
Share:

পুলিশ সুপারের নির্দেশে রাতারাতি জল পেল গোপগড়!

Advertisement

জলের দাবিতে সোমবার গোপগড়ে মেদিনীপুর-ধেড়ুয়া রাস্তা অবরোধ করে স্থানীয়রা। অবরোধে আটকে পড়েন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ। গাড়ি থেকে নেমে অবরোধকারীদের সমস্যার কথা শোনেন তিনি। অবিলম্বে সমাধানের নির্দেশ দেন ভারতীদেবী। সেই নির্দেশেই কাজ হল চটজলদি।

অবরোধে জেলা পুলিশ সুপারের আটকে পড়ার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কোতোয়ালি থানার পুলিশ। পৌঁছন পুরসভার কর্তারা। ভারতীদেবীর সমস্যা সমাধানের নির্দেশের পরই এলাকায় পৌঁছল পুরসভার জলের ট্যাঙ্ক। একটা নয়, সাতটা। নতুন করে পাইপ লাইন পাতার কাজও শুরু হল।

Advertisement

বহুদিন পরে এলাকায় পর্যাপ্ত পানীয় জল পেয়ে খুশি বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা মঞ্জু মাঝির কথায়, “পুলিশ সুপার জানতে চেয়েছিলেন এলাকায় জলের কী সমস্যা রয়েছে। আমরা ওঁনাকে সমস্যার কথা বলি। উনি মন দিয়ে সব শোনেন। পুরসভার লোকেরা পৌঁছনোর পরে ওঁদের সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন।’’ তিনি বলছেন, ‘‘পুলিশ সুপারের নির্দেশের পরই এলাকায় পুরসভার জলের ট্যাঙ্ক আসে। নতুন করে পাইপ পাইন পাতার কাজও শুরু হয়েছে।” মঞ্জুদেবীর কথায়, “আশা করি, দ্রুতই এই পাইপ লাইন পাতার কাজ শেষ হবে। এ দিন যেমন পর্যাপ্ত জল পেয়েছি, আগামী দিনেও তেমন পর্যাপ্ত জল পাবো।”

পুলিশ সুপারের নির্দেশের পরে পদক্ষেপ করার কথা মানছেন পুরকর্তারাও। মেদিনীপুরের উপপুরপ্রধান জিতেন্দ্রনাথ দাস বলেন, “গোপগড়ে জলের একটা সমস্যা ছিল। পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা হয়েছে। সমস্যার সমাধানে ইতিমধ্যে পদক্ষেপও করা হয়েছে। নতুন করে পাইপ লাইন পাতার কাজ চলছে।’’ দু’-এক দিনের মধ্যেই এই কাজ শেষ হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন শহরের উপপুরপ্রধান।

সোমবার বিকেলে জলের দাবিতে মেদিনীপুর-ধেড়ুয়া রাস্তা অবরোধ করে ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত গোপগড় এলাকার বাসিন্দারা। অভিযোগ, এই এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা দীর্ঘদিনের। অথচ, সমস্যার সমাধানে পুরসভা উদ্যোগী হয়নি। সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে অবরোধ। অবরোধের জেরে বেশ কিছু বাস-লরি আটকে পড়ে। পথচলতি মানুষজন দুর্ভোগে পড়েন।

ওই সময়ে ঝাড়গ্রাম থেকে মেদিনীপুরে আসছিলেন জেলার পুলিশ সুপার ভারতীদেবী। তিনিও ওই অবরোধে আটকে পড়েন। সে কথা জানতে পেরে ঘুম ছুটে যায় মেদিনীপুরের পুরকর্তাদের। তড়িঘড়ি এলাকায় পৌঁছন পুরপ্রধান প্রণব বসু, উপ পুরপ্রধান জিতেন্দ্রনাথ দাস। আসেন এলাকার কাউন্সিলর পূর্ণিমা পড়্যা। এই সমস্যার সমাধান আগেই করা উচিত ছিল বলে পুরকর্তাদের বুঝিয়ে দেন ভারতীদেবী। এলাকার এক বাসিন্দা বলছিলেন, “পুলিশ সুপার এ ভাবে অবরোধে আটকে না পড়লে জল সমস্যার সমাধান যে কবে হতো কে জানে!”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন