নতুন হোক বা পুরনো, গাড়ি কেনার পরে তার কাগজপত্র হাতে পেতে ঝক্কির অন্ত থাকে না। বিশেষ করে পুরনো গাড়ি কিনলে যাবতীয় নিয়ম মেনে তা নিজের নামে করতে গিয়ে নাস্তানাবুদ হতে হয় ক্রেতাকে। বিশেষ করে পুরনো গাড়ির সব তথ্য পাওয়া সহজ নয়। দিনের পর দিন পরিবহণ দফতরে ঘুরতে হয়। দালালের দ্বারস্থও হতে হয়।
এই ঝক্কির দিন এ বার শেষ হল পশ্চিম মেদিনীপুরে। কারণ, জেলার পরিবহণ দফতরে চালু হয়েছে অনলাইন পরিষেবা। পোশাকি নাম ‘ই-বাহন’। গত মাস থেকে এই অনলাইন ব্যবস্থা চালু হওয়ায় জেলা পরিবহণ দফতরের কাজে এসেছে গতি। জেলার অতিরিক্ত পরিবহণ আধিকারিক অমিত দত্ত বলেন, “পশ্চিম মেদিনীপুরেও ‘ই-বাহন’ চালু হয়েছে। এর ফলে প্রচুর মানুষ উপকৃত হবেন।’’ জেলার এক পরিবহণ আধিকারিকের দাবি, “একে একে সব কিছু ই-ব্যবস্থার মধ্যে আসবে। কাজে গতি আসবে, স্বচ্ছতাও থাকবে।’’
পরিবহণ দফতরে এসে হয়রানির অভিযোগ নতুন নয় পশ্চিম মেদিনীপুরে। অভিযোগ, পরিবহণ দফতরে নানা পরিষেবা পেতে দালালের শরণাপন্ন হতে হয়। দফতরের আশপাশে দালালেরা ঘোরাফেরা করে। দাবি মতো টাকা দিলেই সময়ের মধ্যে কাজ উসুল হয়। এই সব হয়রানি এড়াতেই জেলায় জেলায় ই-ব্যবস্থা চালুতে উদ্যোগী হয় রাজ্য। মাস কয়েক আগে পশ্চিম মেদিনীপুরে এসে এক বৈঠক করে পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী জানিয়ে দেন, জেলায় দ্রুত ‘ই-বাহন’ পরিষেবা চালু করতে হবে।
এই অনলাইন ব্যবস্থা চালু হলে গাড়ির সব তথ্যই মিলবে অনলাইনে। ঘরে বসে বা সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে অনায়াসে সব জানা যাবে। গাড়ির ট্যাক্স টোকেন থেকে স্মার্ট কার্ড, সব কিছু অনলাইনে মিলবে। বিকল্প স্মার্ট কার্ড, গাড়ির কর জমা দেওয়া, অন্য রাজ্যের গাড়ি রেজিস্ট্রেশন করা, ফিটনেস সার্টিফিকেট থেকে নিজস্ব গাড়ির যাবতীয় বিতরণ-সহ সব কিছু আবেদন করা বা ওই সংক্রান্ত তথ্য জানা যাবে অনলাইনে। ফর্মপূরণ করে অনলাইনেই টাকা জমা দেওয়া যাবে। এমনকী ফিটনেস সার্টিফিকেটও মিলবে অনলাইনে। এর ফলে সময়ও বাঁচবে। জেলার এক পরিবহণ আধিকারিকের কথায়, “এই ব্যবস্থায় মানুষ সব দিক থেকে উপকৃত হবেন।’’