খতিয়ান: কোন রক্ত কত! নিজস্ব চিত্র
চালু হয়নি রক্তের উপাদান আলাদা করার ব্যবস্থা। আর সেটাই পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক, কাঁথি, হলদিয়া হাসপাতালে রক্তের সঙ্কট তৈরি করেছে বলে ওই সব হাসপাতাল সূত্রে খবর।
গরমের সময় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে রক্তদান শিবির আয়োজন কম হওয়ায় এই সময় রক্তের সঙ্কট তৈরি হয়। কিন্তু কোনওমতে তা সামাল দেওয়ার চেষ্টা হলেও হাসপাতালগুলিতে রক্তের উপাদান পৃথকীকরণ ব্যবস্থা চালু না হওয়ায় সমস্যা বাড়ছে। প্রায় সব ক্ষেত্রেই রোগীদের ‘হোল ব্লাড’ দেওয়া হচ্ছে। আর সেটাই সঙ্কট আরও বাড়িয়েছে বলে জেলার হাসপাতালগুলি সূত্রে জানানো হয়েছে।
সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাই চন্দ্র মণ্ডল। যদিও তাঁর যুক্তি, ‘‘জেলায় তিনটি ব্লাড ব্যাঙ্কের মাধ্যমে রোগীদের রক্তের চাহিদার বেশিরভাই পূরণ করা গেলেও এখনও কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। রক্তের উপাদান পৃথকীকরণ ইউনিট চালু হলে সুবিধা হতো।’’ জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও তমলুক জেলা হাসপাতাল ব্লাড ব্যাঙ্ক সূত্রে খবর, পূর্ব মেদিনীপুরে তমলুক জেলা হাসপাতাল, কাঁথি মহকুমা হাসপাতাল ও হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে ব্লাড ব্যাঙ্ক চালু রয়েছে। তবে এগরা মহকুমা হাসপাতাল এখনও ব্লাড ব্যাঙ্ক চালু হয়নি। জেলায় নতুন চালু হওয়া নন্দীগ্রাম ও পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালেও চালু হয়নি ব্লাডব্যাঙ্ক।
তমলুক ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তদান শিবিরে গিয়ে রক্ত সংগ্রহের জন্য দু’টি গাড়ি রয়েছে। ব্লাড ব্যাঙ্কের এক আধিকারিক জানান, চলতি বছরেও এখনও পর্যন্ত ২৪৭ টি শিবির হয়েছে। যদিও ব্লাড ব্যাঙ্কের রক্ত সংরক্ষণ পরিকাঠামো না থাকায় অনেক সময় শিবির করা যাচ্ছে না। তা ছাড়া রক্তের উপাদান পৃথকীকরণ ইউনিট চালু হলে যত পরিমাণ রক্ত সংগ্রহ হয় তার চেয়ে অনেক বেশি রোগীকে রক্ত দেওয়া যেত।
তমলুক ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শুকদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ক্লাব, স্কুল, কলেজগুলিতে রক্তদানের সচেতনতা বেড়েছে। তবে জেলায় চাহিদার তুলনায় রক্তের ঘাটতি রয়েছে। সমস্যা মেটাতে রক্তের উপাদান পৃথকীকরণ ইউনিট এবং এগরা, নন্দীগ্রাম ও পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে অবিলম্বে ব্লাডব্যাঙ্ক চালু করা প্রয়োজন।