পারিবারিক বিবাদের জেরে দাদার মাথায় ধারাল অস্ত্রের কোপ মারার অভিযোগ উঠল ভাইয়ের বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম ওই যুবক আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি ভুবনেশ্বরের হাসপাতালে। ঘটনার পরে গ্রামছাড়া অভিযুক্ত ভাই। রবিবার দুপুরে এগরার পটাশপুর-২ ব্লকের কানপুর গ্রামের ঘটনা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কানপুর গ্রামের বাসিন্দা সঞ্জয় মণ্ডল এবং রঞ্জয় মণ্ডল সম্পর্কে দুই ভাই। কয়েক বছর আগেই থেকে দুই ভাই বাড়িতে আলাদা থাকত। কিন্তু জমি ও অন্য সম্পত্তি ছিল যৌথ মালিকানায়। দুই ভাই-ই আলাদা বাবে চাষ করত। গত ২৬ অগস্ট বাড়ির কাজের জন্য দাদা সঞ্জয় মণ্ডল পাশের বাঁশবাগান থেকে কয়েকটা বাঁশ কেটে আনে। সেই দেখে ভাই রঞ্জয়ও বাগান থেকে কয়েকটা বাঁশ কেটে আনে। পরে দুজনের মধ্যে বাঁশ এবং গাছ কম বেশী কাটাকে কেন্দ্র করে ঝামেলা বাধে। ঝামেলা বাঁশবাগান থেকে পৌঁছে যায় বাড়ির উঠোনে। দুই ভাইয়ের বচসার সময় আচমকাই রঞ্জয় হাতে থাকা গাছ কাটার কুড়ুল দিয়ে সজোরে দাদার কাঁধে কোপ মারে।
রক্তাক্ত অবস্থায় দাদা সঞ্জয় উঠোনে লুটিয়ে পড়লে ফের তাঁর মাথায় আরও দুবার কোপ মারে রঞ্জয়। সঞ্জয়ের চিৎকারে আশপাশের লোকেরা ছুটে এসে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে এগরা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করে। রবিবার রাতে সঞ্জয়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সোমবার ভোরে তাঁকে ভুবনেশ্বরের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। যদিও মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে পুলিশ সূত্রে খবর।