Elephant

ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়ার পর জ্ঞান ফিরল না হাতির, ঝাড়গ্রামে ‘খুনে’ দাঁতালের মৃত্যু

গত কয়েক দিনে হাতির হানায় এক হোম গার্ড-সহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে ঝাড়গ্রামের কাজলার জঙ্গলে উন্মত্ত ওই হাতিটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়েন বন দফতরের কর্মীরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৩ ২২:০২
Share:

হাতিকে অচেতন করে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ঝাড়গ্রামের জুলজিক্যাল পার্কে। — নিজস্ব চিত্র।

হাতির হানায় গত কয়েক দিনে পর পর বেশ কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছে ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে। সেই হাতিকে ধরার জন্য অচেতন করতে গিয়ে বাধল বিপত্তি। মৃত্যু হল দাঁতালের। হাতিটির এমন ভাবে মৃত্যুতে তার দেহ ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

Advertisement

ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় গত কয়েক দিনে হাতির হানায় এক হোম গার্ড-সহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে ঝাড়গ্রামের বিড়িহাণ্ডি বিটের কাজলার জঙ্গলে উন্মত্ত ওই হাতিটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়েন বন দফতরের কর্মীরা। উপস্থিত ছিলেন হাতি বিশেষজ্ঞেরাও। হাতিটি জ্ঞান হারালে তাকে নিয়ম মেনে চোখ বেঁধে গাড়িতে তোলা হয়। বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, হাতিটিকে ঝাড়গ্রামের জুলজিক্যাল পার্কে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসার পর সে মারা যায়। বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ময়নাতদন্তের পর হাতিটির দেহ দাহ করা হবে।

গত ২০ জুন লালগড়ে বুড়াবাবা থানে কর্তব্যরত এক হোমগার্ড হাতির হানায় মারা যান। ২২ জুন পশ্চিম মেদিনীপুরের চাঁদড়ায় এক জন এবং ২৯ জুন ঝাড়গ্রামের বিড়িহান্ডি বিটের কাজলাতে এক জনের মৃত্যু হয়। বন দফতর জানিয়েছে, যে হাতিটি মারা গিয়েছে, তার হানাতেই ওই তিন জনের মৃত্যু হয়েছিল। বনমন্ত্রী বলেন, ‘‘দু’-তিন সপ্তাহ আগে ঝাড়খণ্ড থেকে ওই পুরুষ হাতিটি ঢুকে পড়েছিল ঝাড়গ্রামে। পড়শি রাজ্যেও পাঁচ-ছ’জনকে মেরেছিল হাতিটি। ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরেও চার জনের মৃত্যু হয়েছে হাতির হানায়। সেই কারণে ওই দলছুট হাতিটিকে ট্রাঙ্কুলাইজ করে বক্সাতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ঝাড়গ্রাম মিনি জু-তে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়েছে। হাতিটির সামনের বাঁ পায়ে গভীর ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। সেখানে পোকা হয়ে গিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে বোঝা যাবে মৃত্যুর কারণ কী।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন