হাতির তাণ্ডবে বেঁকে গিয়েছে দরজা। ঝাড়গ্রামের দুধকুণ্ডিতে। নিজস্ব চিত্র
প্রাথমিক স্কুলের স্টোররুমের দরজা ভেঙে মিড ডে মিলের চাল খাচ্ছিল হাতি। গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়ে সে পালাল বটে, তবে সঙ্গে নিয়ে গেল রসদ। এক বস্তা চাল। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়গ্রাম ব্লকের দুধকুণ্ডি গ্রাম পঞ্চায়েতের ডিহিবাদিনা গ্রামে।
বন দফতর ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বরাশুলির জঙ্গলে তিনটি রেসিডেন্ট হাতি রয়েছে। তারই একটি জঙ্গলের দিক থকে আচমকা ঢুকে পড়ে ডিহিবাদিনা গ্রামে। শুঁড় দুলিয়ে হাতিটি হাজির হয় ডিহিবাদিনা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে। স্কুলে কংক্রিটের প্রাচীর নেই। স্কুলের চারপাশে কাঁটা ঝোপের বেড়ার মাঝে সিমেন্টের দু’টি পিলারের মধ্যে গ্রিলের গেট রয়েছে। হাতিটি পিলার ভেঙে গ্রিলের গেট উপড়ে স্কুল চত্বরে ঢুকে পড়ে। গেট ভাঙার আওয়াজ পেয়ে গ্রামবাসীরা ছুটে আসেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, হাতিটি স্টোর রুমের শক্তপোক্ত লোহার দরজা ভেঙে শুঁড় দিয়ে চালের বস্তা টেনে বার করে খেতে শুরু করে। গ্রামবাসীদের তাড়ায় কলসিভাঙার দিকে চম্পট দেওয়ার আগে হাতিটি শুঁড়ে এক বস্তা চাল তুলে নেয়। বুধবার সকালে পৌঁছন স্কুলের টিচার-ইনচার্জ জয়ন্তী শীট। তিনি বলেন, “স্টোর রুমে মিড ডে মিলের ৫ কুইন্টাল চাল মজুত ছিল। অর্ধেকের বেশি চাল খেয়ে সাবাড় করে দিয়েছে হাতিটি। বন দফতরকে জানিয়েছি।”
কিছুদিন আগে ডিহিবাদিনার পাশের বাদিনা গ্রামের প্রাথমিক স্কুলেও একই কায়দায় চাল লুট করেছিল একটি হাতি। বন দফতর সূত্রের খবর, গত তিন বছরে কেবলমাত্র ঝাড়গ্রাম বন বিভাগ এলাকায় ১২ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দরজা ভেঙে চালের বস্তা লুঠ করেছে হাতি। ঝাড়গ্রামের এডিএফও সমীর মজুমরদার বলেন, “একটি হাতি ডিহিবাদিনা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্টোর রুমের দরজা ভেঙে চাল খেয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে।”
তিনি জানান, হাতিরা গন্ধ শুঁকে বুঝে যাচ্ছে, কোথায় চাল, ডাল, আটা, নুন রয়েছে। শুধু স্কুল নয়, গৃহস্থের বাড়ি থেকেও তারা খাবার ও হাঁড়িয়া খেয়ে নিচ্ছে।