কলাইকুণ্ডার জঙ্গলে হাজির দলমার পাল

ঝাড়গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকায় ধান ও সব্জি খেতে তাণ্ডব চালাল দলমার হাতির পাল।বন দফতর সূত্রে খবর, সোমবার গভীর রাতে মেদিনীপুর সদর ব্লকের মণিদহের দিক থেকে কংসাবতী নদী পেরিয়ে প্রায় ৮০-৮৫ টি হাতি ঝাড়গ্রাম বন বিভাগের মানিকপাড়া রেঞ্জ এলাকায় ঢুকে পড়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:৩৭
Share:

ঝাড়গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকায় ধান ও সব্জি খেতে তাণ্ডব চালাল দলমার হাতির পাল।

Advertisement

বন দফতর সূত্রে খবর, সোমবার গভীর রাতে মেদিনীপুর সদর ব্লকের মণিদহের দিক থেকে কংসাবতী নদী পেরিয়ে প্রায় ৮০-৮৫ টি হাতি ঝাড়গ্রাম বন বিভাগের মানিকপাড়া রেঞ্জ এলাকায় ঢুকে পড়ে। এরপর ঝাড়গ্রাম ব্লকের চিতলবনি, বল্লা, সাতবল্লা, কুমারী ও পেঁচাপাড়া হয়ে হাতিগুলি গুপ্তমণির লাগোয়া দোগেড়িয়া মৌজায় পৌঁছয়। মঙ্গলবার ভোর রাতে ঝাড়গ্রাম এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় হাতির পালটি এলাকায় প্রায় দেড়শো বিঘে জমির ধান ও সব্জি চাষের ক্ষতি করেছে।

মঙ্গলবার ভোরে হাতির দলটি ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক পার হয়ে খড়্গপুরের পতনা এলাকা হয়ে জটিয়ার জঙ্গলে হাজির হয়েছে। বন দফতর সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দিনভর হাতিগুলি তিনটি দলে ভাগ হয়ে কলাইকুণ্ডা রেঞ্জের জটিয়া ও আশেপাশের জঙ্গলে বিশ্রাম নিয়েছে।

Advertisement

এলাকায় হাতি ঢুকে পড়ায় খবরে আতঙ্কে রয়েছেন চাষিরা।প্রতি বছর অক্টোবর নাগাদ নয়াগ্রামে যায় দলমার হাতিরা। এ বার অবশ্য কিছুটা আগে ভাগেই তারা এলাকায় চলে আসায় চিন্তিত বন দফতর। নয়াগ্রাম এলাকা হয়ে আগে হাতিরা ওড়িশার দিকে যেত। কিছুদিন ওড়িশায় কাটিয়ে আবার এ রাজ্যে ফিরে আসত। বছর তিনেক হল, নয়াগ্রাম সীমানায় পরিখা ও চওড়া সেচ খাল খনন করে হাতিদের গতিপথ ‘অবরুদ্ধ’ করে দিয়েছে ওড়িশা বন দফতর। বিগত বছরগুলিতে ওড়িশার দিকে যেতে বাধা পেয়ে ক্ষিপ্ত হাতির দল নয়াগ্রাম এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছিল। ফলে, এ বার বন দফতরের উদ্বেগ বাড়ছে। খড়্গপুরের ডিএফও অঞ্জন গুহ বলেন, “ওড়িশার পথ যেহেতু অবরুদ্ধ, তাই হাতির দলটিকে বিকল্প পথে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।”

স্কুলের অনুষ্ঠান। বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠের (বালিকা) সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আন্তঃস্কুল সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার সূচনা হল মঙ্গলবার। চলবে ২৭ তারিখ পর্যন্ত। নাচ, গান, আবৃত্তি-সহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতা হবে। ২০টিরও বেশি স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছে বলে প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমী নন্দী জানিয়েছেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন পালন অনুষ্ঠানের সূচনা হয়েছিল। সেই উপলক্ষেই বছরভর নানা ধরনের অনুষ্ঠান চলছে স্কুলে। অনুষ্ঠানটি শেষ হবে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement