ফের দলমার দামালদের তাণ্ডবে অতিষ্ঠ পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলঘেঁষা গ্রামের বাসিন্দারা।
বন দফতর সূত্রে খবর, প্রাণহানির কোনও খবর না থাকলেও ফসলের ক্ষতি হয়েছে। যে কোনও মুহূর্তে হাতির পাল লোকালয়ে ঢুকে পড়তে পারে, ফলে আশঙ্কায় বন দফতরও। এমনিতেই হাতিগুলি গড়বেতার একাধিক সড়ক পেরিয়ে বনাঞ্চলে ঢুকতে শুরু করেছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়ার পিয়ারডোবার কাছে ট্রেনের ধাক্কায় তিনটি হাতির মৃত্যু হয়েছে। ফলে জাতীয় সড়ক পারাপার করতে গিয়ে যাতে কোনও বিপত্তি না ঘটে, সেই বিষয়েও তৎপর বন দফতর। রূপনারায়ণ বিভাগের ডিএফও অর্ণব সেনগুপ্ত বলেন, “এলাকায় হাতির যে পাল রয়েছে-সেখানে আমাদের কড়া নজরদারি চলছে। লোকালয়ে যাতে হাতির পাল না ঢুকতে পারে-তার সবরকম চেষ্টা করছি।”
বন দফতর ও স্থানীয় সূত্রের খবর, কয়েকদিন আগে একটি হাতির পাল ফের দলমা থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরে ঢুকেছে। মাস দেড়েক আগে ওই পালটিকেই দলমায় পাঠানো হয়েছিল। মূলত খাবারের অভাবেই তারা ফের ঝাড়খন্ডের দলমা থেকে জেলায় ঢোকে। পরে পালটি আট-দশটি ভাগে ভাগ হয়ে একাধিক বনাঞ্চলে অবস্থান করছে। দিন কয়েক আগেই প্রথমে ঝাড়গ্রামে পালটি ঢোকে। পরে তারা গোয়ালতোড় ও গড়বেতায় রেঞ্জেও ঢুকে পড়ে। আ লালগড়ে এখনও দশটির মতো হাতি রয়েছে।
বন দফতর সূত্রের খবর, দলমার ওই পালটি গোয়ালতোড় ও গড়বেতার আমকোপা, ভেদুয়া, লেদাখামার, মাগুরাশোল, নরহরিপুর, আগরা-সহ বিভিন্ন গ্রামে তাণ্ডব চালায়। শুক্রবার গড়বেতার রসকুণ্ডু মোড় সংলগ্ন লেদাপোলে হাতির পালটি মেদিনীপুর-রানিগঞ্জ জাতীয় সড়কও পারাপার করে। আর এতেই কপালে ভাঁজ দফতরের আধিকারিকদের। অর্ণব সেনগুপ্তর কথায়, ‘‘হাতির তাণ্ডবে ফসলের ক্ষতি হয়েছে, শুনেছি। দফতরের কর্মীরা এলাকায় ঘুরে ঘুরে খোঁজ নিচ্ছেন। ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থাও করা হবে।”
আবার শনিবার ভোরে মেদিনীপুর সদর ব্লকের মণিদহে ঢুকে পড়ে পাঁচটি হাতি। উৎসাহী গ্রামবাসীরা হাতির পিছু নেন। এক সময় হাতির দল কংসাবতী নদী পেরোনোর চেষ্টা করে। ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত হাতির দলটি মণিদহতেই ছিল। মণিদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অঞ্জন বেরা বলেন, ‘‘হাতির হানায় তেমন কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।”