উচ্ছেদ: অবৈধ দোকান ভেঙে ফেলা হচ্ছে দিঘায়। নিজস্ব চিত্র
জবরদখলকারীদের নোটিস দেওয়া হয়েছিল আগেই। তবে তারা তা অমান্য করে মামলার পথে হেঁটেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে নির্দেশে সরকারি জমিতে নির্মিত অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করল প্রশাসন। বুধবার নিউ দিঘার ক্ষণিকা ঘাটের কাছে এমনই উনিশটি দোকানঘর জেসিবি মেশিন দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়। গোলমালের আশঙ্কায় এলাকায় মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশবাহিনী।
এ বিষয়ে রামনগর ১-এর বিডিও অনুপম বাগ বলেন, “বেশ কয়েক বছর ধরেই এখানে ছিল অবৈধ দোকানঘরগুলি। আদালতের নির্দেশের পরই তা উচ্ছেদ করা হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে।”
অভিযোগ, নীচে দোকানঘর এবং তার উপরে থাকার জায়গা বানিয়ে ফেলেছিল জবরদখলকারীরা। স্থানীয়দের দাবি, প্রথমে ঝিনুকের নানা সামগ্রী বা মনোহারি দোকান করেছিল তারা। পরে সেই সব বাড়ি দোতলা হয়। কেউ কেউ আবার সেখানে পর্যটকদের ঘরভাড়া দিত বলেও জানা গিয়েছে। তবে এই উচ্ছেদের পর প্রশাসনের পদক্ষেপে খুশি পর্যটকেরা। মালদা থেকে আসা সুমন সরকার বলেন, “পর্যটন কেন্দ্র দিঘায় এমন বেআইনি নির্মাণ অভিপ্রেত নয়। তাই প্রশাসন ঠিক কাজ করছে।” উত্তর দিনাজপুর থেকে আসা চন্দন বাগচির কথায়, “দিঘায় প্রশাসনের কড়া পদক্ষেপ দেখে খুব ভাল লাগছে। সব জায়গাতেই এমন হলে ভাল হতো। দিঘায় আসার পথে কিছু জায়গায় দেখলাম, রাস্তার পাশেই দোকানঘর। ফলে কয়েক জায়গায় রাস্তা খুব সরু হয়ে গিয়েছে। সে সব জায়গাতেও এমন পদক্ষেপ প্রয়োজন।”
এ দিনের উচ্ছেদ অভিযানে হাজির ছিলেন পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকেরা। দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের এক আধিকারিকের কথায়, “দখলকারীদের নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে নোটিস দেওয়া হয়েছিল। নভেম্বর মাসের মধ্যেই অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলতে হবে বলেও জানানো হয়েছিল। তারা নিজেরা কিছু করেনি, বরং নোটিসের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছিল। তবে আদালত সেই আবেদন গ্রাহ্য করেনি।”
কী বলছেন উচ্ছেদ হওয়া দখলকারীরা? ব্যাবসায়ী অশোক আদকের কথায়, “আদালতের দ্বারস্থও হয়েছিলাম। তবে রায় বিপক্ষে গিয়েছে। এ বার আমরা ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার কথা ভাবছি।”