কেরলে ছেলে, ঘুম নেই মা-বাবার

স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে বন্যা বিধ্বস্ত কেরলে আটকে পড়েছে গোয়ালতোড়ের এক যুবক। গ্রামের বাড়িতে দুশ্চিন্তায় ঘুম উবেছে তাঁর প্রিয়জনেদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৮ ০১:০০
Share:

সুজিত দাস।

স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে বন্যা বিধ্বস্ত কেরলে আটকে পড়েছে গোয়ালতোড়ের এক যুবক। গ্রামের বাড়িতে দুশ্চিন্তায় ঘুম উবেছে তাঁর প্রিয়জনেদের।

Advertisement

স্থানীয় যাত্রা বিষ্ণুপুর এলাকার মহারাজপুর গ্রামের বছর চৌত্রিশের নৈমুদ্দিন মোল্লা স্ত্রী, কন্যা নিয়ে এর্নাকুলম জেলার কুনামাউ শহরের একটি স্কুলের ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। সোমবার বিকেলে সেখান থেকেই মোবাইলে নৈমুদ্দিন বললেন, ‘‘আমরা চেরাপ্পারান শহরে একতলা বাড়িতে ভাড়া থাকতাম। পুরো বাড়িটা জলের তলায় চলে যাওয়ায় ত্রাণ শিবিরে এসে উঠেছি। জানি না সামনে কী অপেক্ষা করছে।’’

স্ত্রী পারুল, চার বছরের মেয়ে শবনমকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন নৈমুদ্দিন। বছর ১২ আগে ফুল ও জরির কাজ করতে কেরলে যান তিনি। মাস ছয়েক আগে বাড়িতে আসেন। গোয়ালতোড়ের মহারাজপুরে গ্রামের বাড়িতে ছেলে, বৌমা, নাতনির জন্য উদ্বেগে রয়েছেন মুস্তাকিম মোল্লা। উদ্বেগে অন্যরাও। গোয়ালতোড় থানার পুলিশ নৈমুদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে।

Advertisement

উদ্বিগ্ন: চন্দ্রকোনা রোডের বাড়িতে সুজিত দাসের বাবা-মা। নিজস্ব চিত্র

অন্য দিকে, চন্দ্রকোনা রোডের শান্তিনগর এলাকার বছর তিরিশের যুবক সুজিত দাসও কেরলের কোচিতে বন্যায় আটকে পড়েছেন বলে তাঁর পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন। উদ্বিগ্ন বাবা বিশু দাস ও মা অঞ্জু দাস মোবাইলে ছেলের সঙ্গে কথা বলেছেন। বেসরকারি টেলিকম বিভাগে কাজ করতে বছর তিনেক আগে সুজিত কেরলে গিয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement