জঙ্গল ছাড়েনি হাতি, ফের ক্ষতি আনাজের

তাদের দাপটে গড়বেতার জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় শুক্রবার রাতে ফের ক্ষতির মুখে পড়লেন চাষিরা। চার দাঁতাল নষ্ট করেছে তাঁদের চাষ করা আলু এবং আনাজ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গড়বেতা শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:১১
Share:

নজরে: গড়বেতায় জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় হাতি। —নিজস্ব চিত্র।

দলের অধিকাংশই ডেরা বদল করে গিয়েছে অন্য এলাকার জঙ্গলে। থেকে গিয়েছে শুধু চার সদস্য। তাদের দাপটে গড়বেতার জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় শুক্রবার রাতে ফের ক্ষতির মুখে পড়লেন চাষিরা। চার দাঁতাল নষ্ট করেছে তাঁদের চাষ করা আলু এবং আনাজ।

Advertisement

বন দফতর সূত্রের খবর, ১৪টি হাতির একটি দল বৃহস্পতিবার শালবনি থেকে নয়াবসতের জঙ্গল হয়ে গড়বেতার আমলাগোড়ার মাগুরাশোলের জঙ্গলে ঘাঁটি গাড়ে। এই পালটির মধ্যে ১০টি হাতি শুক্রবার ডেরা বদলিয়ে ধাদিকার খড়িকাশুলির জঙ্গলে ঢুকেছে। কিন্তু বাকি চারটি হাতি মাগুরাশোলের জঙ্গলেই রয়ে গিয়েছে। শুক্রবার রাতে তারাই এলাকার আনাজ খেত তছনছ করেছে। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে ৪০-৪৫টি হাতির একটি বড় পাল গড়বেতা ১ ব্লক এলাকার জঙ্গলে ঢুকে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি করে বাঁকুড়া জেলার জঙ্গলে চলে গিয়েছিল। তার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের হাতির পাল ঢুকে পড়ায় উদ্বিগ্ন বন দফতর থেকে কৃষকেরা।

গড়বেতায় ফের হাতি ঢোকায় সতর্ক বন দফতরের কর্মীরা। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে তাদের গতিবিধির উপর সর্বদা নজর রাখছেন তাঁরা। তবুও তাঁদের নজরদারি এড়িয়ে হাতিগুলি খাবারের সন্ধানে আলু খেত, আনাজ খেতে এসে রীতিমতো তাণ্ডব চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসীরা। অভিযোগ, শুক্রবারের তাণ্ডবের আগেও গত দু’দিনে কিয়াবনি, তুলসিচটি, আমলাগোড়া প্রভৃতি মৌজায় বিঘার পর বিঘা আলু ও কপি খেত ক্ষতি করেছে অন্য কয়েকটি হাতি।

Advertisement

অন্য দিকে, ধাদিকার খড়িকাশুলির জঙ্গলে আগে থেকেই ছ’টি হাতি ছিল। শুক্রবার রাতে তারা গড়বেতার গনগনিতে শিলাবতী নদী তীরবর্তী বান্দুয়া, সরবনি, খরখরি-সহ কয়েকটি মৌজায় তছনছ করেছে আনাজ খেত। আর গোয়ালতোড়ের জঙ্গলে থাকা সাতটি হাতি শুক্রবার রাতেই ডেরা বদলিয়ে লালগড়ের বান্দির জঙ্গলে গিয়েছে বলে বন দফতর সূত্রের খবর।

ক্ষোভ দেখা দিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্যে। বন দফতরের আমলাগোড়া এবং গড়বেতা রেঞ্জ অফিসে গিয়ে ইতিমধ্যেই ক্ষুব্ধ কৃষকেরা ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে হাতিগুলিকে অন্যত্র সরানোরও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। এ ব্যাপারে বন দফতরের রূপনারায়ণ বিভাগের ডিএফও অর্ণব সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘হাতির হানায় ক্ষয়ক্ষতি হলে, তার ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। বন দফতর ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকে। আবেদনের ভিত্তিতে খতিয়ে দেখে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রেও তাই হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন