বৃষ্টি ভাবনা নিয়ে আগাম হাজির মণ্ডপে

মেদিনীপুর শহরে শতাধিক সর্বজনীন দুর্গাপুজো হয়। এরমধ্যে বেশ কয়েকটি বড় পুজো। তার মধ্যে রাঙামাটি সর্বজনীনের অন্যতম উদ্যোক্তা সুশান্ত ঘোষের আশঙ্কা, ‘‘আমাদের মণ্ডপে নানা শৈল্পিক কাজ রয়েছে। বৃষ্টি হলে তা নষ্ট হবে। চিন্তা এখানেই।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর ও ঘাটাল শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ ০০:৫৭
Share:

ঘাটালের সারদা পল্লির প্রতিমা। ছবি: কৌশিক সাঁতরা

আপাতত বৃষ্টি বন্ধ। তবে শুক্রবারও কিছুটা সময়ে মেদিনীপুরের আকাশ ছিল মেঘলা। পুজোর দিনগুলিতে বৃষ্টি হবে না তো— উদ্বেগ যাচ্ছে না পুজো উদ্যোক্তাদের।

Advertisement

মেদিনীপুর শহরে শতাধিক সর্বজনীন দুর্গাপুজো হয়। এরমধ্যে বেশ কয়েকটি বড় পুজো। তার মধ্যে রাঙামাটি সর্বজনীনের অন্যতম উদ্যোক্তা সুশান্ত ঘোষের আশঙ্কা, ‘‘আমাদের মণ্ডপে নানা শৈল্পিক কাজ রয়েছে। বৃষ্টি হলে তা নষ্ট হবে। চিন্তা এখানেই।’’ একই আশঙ্কা শহরের অন্য বড় পুজোগুলির উদ্যোক্তাদেরও।

আগের বৃষ্টিতে জমা জল এখনও পুরোপুরি সরেনি। তাই যে সব পুজো মাঠে হয়, সেই উদ্যোক্তাদেরই চিন্তা বেশি। কারণ ফের বৃষ্টি হলে মাঠে আবার জল জমবে। রাঙামাটির পাশাপাশি বিধাননগর, বার্জটাউন, অরবিন্দনগর প্রভৃতি এলাকার পুজো মাঠে হয়। সৃজনী সর্বজনীনের অন্যতম উদ্যোক্তা প্রীতিশঙ্কর বেরা বলেন, ‘‘পুজোর দিনগুলিতে বৃষ্টি হলে যে কী হবে, সে নিয়ে আমরা চিন্তায় আছি।’’ অশোকনগর সর্বজনীনের অন্যতম উদ্যোক্তা কল্যাণময় ঘোষ বলেন, ‘‘বৃষ্টি হলে মণ্ডপের সাজ ধরে রাখাটাই মুশকিল হবে।’’

Advertisement

মেদিনীপুরে এ বার তৃতীয়া থেকেই পুজোর উদ্বোধন শুরু হয়েছিল। তবে বেশিরভাগ পুজোর উদ্বোধন হয়েছে চতুর্থী ও পঞ্চমীতে। ষষ্ঠীতেও কিছু পুজোর উদ্বোধন হয়েছে। জল, কাদা মাড়িয়েই অনেক পুজোর উদ্বোধন করতে হয়েছে।

তুলনায় অন্য ছবি ঘাটালে। কারণ দিন কয়েকের টানা বৃষ্টিতে বন্যাপ্রবণ ঘাটালের বিভিন্ন এলাকায় জল জমে গিয়েছিল। সেই জল আস্তে আস্তে নেমে গিয়েছে। তারপর বিদ্যাসাগরের বর্ণপরিচয় থেকে আন্দামানের থিমে মজেছেন ঘাটালের মানুষ।

পঞ্চমী থেকেই দাসপুরের লঙ্কাগড় (নাড়াজোল), পাঁচবেড়িয়া সানরাইজ, সোনাখালি স্কুল পাড়া,কলাইকুণ্ডু চতুর্মুখ সবর্জনীন, চাঁইপাট, চেচুয়াহাট, সোনমুই বাজার, গোপালপুর-সহ এলাকার মণ্ডপগুলিতে ভিড় উপচে পড়েছিল। ষষ্ঠীর বিকেলে শহরের তিনের পল্লি, ১৭ এর পল্লি, যুব ক্রীড়া সংস্থা, সারদা পল্লি, বানেশ্বর মন্দির, গ্রামীণ এলাকার সবর্জনীন পুজো মণ্ডপে ভিড় ছিল ভালই। ক্ষীরপাই ডাকবাংলো-সহ জাড়া, রামজীবনপুর-সহ সবর্ত্রই একই ছবি। চতুর্থীর সকালে ঘাটাল শহরের শুকচন্দ্রপুর ও গড়প্রতাপনগরের দুটি মণ্ডপে জল দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। শুক্রবার সেই জল কিছুটা কমেছে।

বৃহস্পতিবার ঘাটাল মহকুমায় প্রায় ২০০টি পুজো কমিটিকে সরকারি সাহায্য দেওয়া হয়। বিশেষ নজর রয়েছে নিরাপত্তার দিকেও। পশ্চিম মেদিনীপুরের বড় পুজো মণ্ডপগুলিতে চাইল্ড লাইন ও পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন রাস্তায় চলছে পুলিশি টহল। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রাখা হয়েছে পুলিশ কিয়স্ক। বড় মণ্ডপে থাকবে সাদা পোশাকের মহিলা পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন