Firecrackers

বাজি বিক্রিতে ধৃত, শব্দদানব আয়ত্তেই

হলদিয়া মহাকুমাতেও আট জনকে  গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে ১৪২ কিলোগ্রাম বাজি। দায়ের হয়েছে ১২টি মামলা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২০ ০১:০১
Share:

ফাইল চিত্র।

দীপাবলির আগের রাতে বাজি উদ্ধার করতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়েছে। তাতে হলদিয়া এগরা, পটাশপুর থেকে বহু বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে মোট ১৬ জন।

Advertisement

করোনা পরিস্থিতি মাথার রেখে এ বছর কোনও রকম বাজি বিক্রি এবং পোড়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে সেই নির্দেশ অমান্য করে বাজি বিক্রির অভিযোগ উঠছিল। শুক্রবার গভীর রাতে এগরা, পটাশপুর ও ভগবানপুর এলাকায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েক বস্তা বেআইনি বাজি-সহ আটজনকে গ্রেফতার করেছে। এদের মধ্যে রয়েছে পটাশপুরে দুই বাজি ব্যবসায়ী গদাধর জানা এবং পিন্টু বেরা। ধৃত আটজনকে শনিবার আদালতে তোলা হলে তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

হলদিয়া মহাকুমাতেও আট জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে ১৪২ কিলোগ্রাম বাজি। দায়ের হয়েছে ১২টি মামলা। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে দুর্গাচকের এক চা বিক্রেতা সনাতন সামন্ত ওরফে শম্ভু। সে চা দোকানের আড়ালে বাজি বিক্রি করত বলে অভিযোগ। হলদিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষ বলেন, ‘‘দীপাবলির রাতেও পুলিশের নজরদারি চলবে, যাতে কেউ কোথাও বাজি না ফাটাতে পারেন বা বাজির না বিক্রি না করেন। শুক্রবার রাতের ধৃতদের শনিবার হলদিয়া মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে।’’

Advertisement

পুলিশ কড়াকড়ি ছড়াও এবার আমজনতার সচেতনতাও লক্ষ্যনীয়। অন্য বছর যখন দীপাবলির আগের রাত থেকেই দেদার বাজি ফাটানো শুরু হয়ে যায়, এ বছর তার ব্যতিক্রম ঘটেছে। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার কোনও এলাকাতেই শব্দ দানবের দৌরাত্ম তেমনভাবে চোখে পড়েনি। স্বভাবতই খুশি পরিবেশ প্রেমীরা। তবে পুলিশ সূত্রের খবর, সাদা কালীপুজোর রাতেও চলেছে পুলিশের নজরদারি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন