আদালত চত্বরে ধৃতেরা। নিজস্ব চিত্র।
সোনার দোকানিকে গুলিতে জখম করার ঘটনায় ভিন্ রাজ্যের চার যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার রাতে খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ মথুরাকাটি থেকে তাদের ধরে। ধৃত সৌমেন দাস, রাজেশ দাস, রাজু দাস ও অর্জুন প্রধানের বাড়ি ওড়িশার জাজপুরে। বৃহস্পতিবার চারজনকে মেদিনীপুর জেলা আদালতে হাজির করা হয়।
ঘটনাটি ঘটে গত ২৬ ডিসেম্বর রাতে। খরিদায় দোকান বন্ধ করে রাজগ্রামে বাড়ি ফেরার পথে বাঙালিপাড়ায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম হন সোনার ব্যবসায়ী কৃষ্ণা রাও। রডের আঘাতে জখম হন তাঁর দাদা মালেশ্বর রাও। সেই ঘটনাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে এই চারজনকে।
রেলশহরের পাড়ায়-পাড়ায় দাপট বাড়ছে দুষ্কৃতীদের। ছোটখাটো বচসা থেকে ছিনতাই, যে কোনও ঘটনাতেই চলছে গুলি। খুন-জখম হচ্ছে। মাস কয়েক আগেই রাজগ্রাম এলাকায় দুষ্কৃতী-দৌরাত্ম্য নিয়ে সরব হয়েছিলেন স্থানীয় বাঙালিপাড়া, খরিদা, রাজগ্রামের বাসিন্দারা। থানায় স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল। এ বার ওই এলাকারই সোনার ব্যবসায়ী দুই ভাই দুষ্কৃতীদের খপ্পরে পড়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ, আতঙ্কিতও। প্রাথমিক ভাবে এলাকাবাসীর ধারণা ছিল, স্থানীয় দুষ্কৃতীরাই এই কাজে জড়িত। কিন্তু পুলিশ ওড়িশার চার দুষ্কৃতীকে ধরার পরে আতঙ্ক আরও বেড়েছে। খরিদার ব্যবসায়ী রাজগ্রামের বাসিন্দা প্রণব দাম বলেন, “আমি দোকান থেকে বাঙালিপাড়া হয়েই বাড়িতে ফিরি। কৃষ্ণার উপরে গুলি চলার পরে আমি ও আমার পরিবার আতঙ্কে কাটাচ্ছি। এলাকার দুষ্কৃতীরা তো রয়েছেই। তার উপর বাইরের দুষ্কৃতীরা শহরে ঢুকছে এটা ভয়ঙ্কর।”
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পরেই মথুরাকাটির একটি বাড়ি থেকে ওই চারজনকে আটক করা হয়েছিল। প্রাথমিক জেরার পরে বুধবার রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ওড়িশা থেকে এসে মথুরাকাটির ওই বাড়িতেই আস্তানা করেছিল এই চার দুষ্কৃতী। ওই বাড়ির মালিকেরও খোঁজ চলছে। ধৃতদের কাছে পুলিশ আগ্নেয়াস্ত্র পায়নি। তবে দু’টি মোটরসাইকেল পেয়েছে। নম্বরবিহীন ওই মোটরসাইকেলগুলি চোরাই বলেই পুলিশের দাবি।