মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১১টার সময় আইআইটিতে আসেন কলকাতার ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির দুই বিশেষজ্ঞ। —নিজস্ব চিত্র।
গত ২০ এপ্রিল খড়্গপুর আইআইটির আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু ভবনের সি-২১৪ নম্বর কক্ষ থেকে উদ্ধার হয়েছিল অনিকেত ওয়ালকার নামে এক ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ। সেই ঘটনার তদন্তের জন্য মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১১টার সময় আইআইটিতে আসেন কলকাতার ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির দুই বিশেষজ্ঞ।
মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকেই ওই কক্ষটি বন্ধ করে রেখেছিল খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ। সেই কক্ষ খুলে পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষানিরীক্ষার পরে বেশ কিছু নমুমা সংগ্রহ করেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ হরেন্দ্রনাথ সিংহ ও নির্মল হাঁসদা। ওই সময়ে তদন্তকারী আধিকারিক, কলেজ কর্তৃপক্ষ, নিরাপত্তারক্ষী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মৃতের দাদা। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই কক্ষ থেকে মোবাইল ও ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। দেহের ময়নাতদন্তের পরে ভিসারা পরীক্ষার জন্যও নমুনা পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০ এপ্রিল মৃত্যুর খবর পেয়ে সন্ধ্যা ৮টা নাগাদ খড়্গপুর টাউন থানার আওতায় থাকা হিজলি ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকেছিল পুলিশ। সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। এর পরে বি সি রায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা ছাত্রের দেহ পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অনিকেত ওসিয়ন ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড নোভাল আর্কিটেকচার চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। প্রসঙ্গত চলতি বছরে পাঁচ জন ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ওষুধ খাওয়ার সময় শ্বাসনালিতে তা আটকে মৃত্যু হয়েছিল এক ছাত্রের। বাকি চার জনের মৃত্যু অস্বাভাবিক।
এক নজরে মৃত্যু:
১২ জানুয়ারি- শোয়ান মালিক
২০ এপ্রিল- অনিকেত ওয়াকার
৪ মে- মহম্মদ আসিফ কামার
১৮ জুলাই- ঋতম মণ্ডল
২১ জুলাই চন্দ্রদীপ পওয়ার (ওষুধ খাওয়ার সময় শ্বাসনালিতে আটকে মৃত্যু)