গুলির ধোঁয়াশা কাটেনি, আসছে ফরেন্সিক দল

বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্তের জন্য আজ, বৃহস্পতিবার খেজুরিতে সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির এক প্রতিনিধি দলের আসার কথা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খেজুরি শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৯ ০০:০৬
Share:

প্রতীকী ছবি

এক শিশুর জখম হওয়া এবং একটি বুলেট উদ্ধার— খেজুরিতে আপাতত এই দু’টি বিষয় নিয়েই দেখা গিয়েছে ধোঁয়াশা। প্রশ্নও উঠেছে দু’টি— শিশুটি কি সত্যিই গুলিতে জখম! বুলেটই বা এল কোথা থেকে!

Advertisement

খেজুরি-২ ব্লকের হলুদবাড়ি-১ নম্বর অঞ্চলের দেখালিতে বিজেপি কর্মী মন্টু দোলাইয়ের তিন বছরের মেয়ে গত সোমবার রাতে গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। মেয়ের পিঠের ক্ষত হওয়া নিয়ে মঙ্গলবার রাতে খেজুরি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মন্টুর পরিবার। তাতে তারা কোনও গুলির আঘাতের কথা উল্লেখ করেনি বলে দাবি পুলিশের। পাশাপাশি, মঙ্গলবারই পুলিশ জানিয়েছিল, ওই মেয়েটির পিঠে যে আঘাত লেগেছিল, তা পুরনো। সেটি বোমার স্‌প্লিন্টার, গুলির জখম নয়। কিন্তু এর পরেও জলঘোলা কমছে না এলাকায়।

বিজেপি’র এখনও দাবি, গুলিটি তৃণমূলই চালিয়েছে। বিজেপি’র খেজুরি-২ মণ্ডল সভাপতি শুভ্রাংশু দাস বলেন, “আমাদের যা মনে হয়েছে, তা পুলিশকে জানিয়েছি।’’ আবার তৃণমূলের দাবি, বিজেপি’র লোকেরাই নিজেদের একটি বুলেট পুলিশকে দিয়েছে।

Advertisement

এ দিকে পুলিশ জানিয়েছে, মন্টুর পরিবারের পক্ষে যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, তাতে সেখানে বলা হয়েছে, মেয়েটির জামা রক্তে ভিজে গিয়েছিল। কিন্তু তাঁর যে জামা থানায় জমা দেওয়া হয়েছে, তাতে একটুও রক্ত লেগে নেই বলে পুলিশের দাবি।

এই পরিস্থিতিতে স্থানীয়েদের আলোচনার মধ্যে রয়েছে সোমবার সকালে কটকা দেবীচক গ্রামে বিজেপি নেতা লালমোহন মাইতির বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনাও। ওই ঘটনায় লালমোহনের ছেলে শিবুরঞ্জন-সহ মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্তের জন্য আজ, বৃহস্পতিবার খেজুরিতে সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির এক প্রতিনিধি দলের আসার কথা। ডক্টর সীমা বাগচীর নেতৃত্বে ওই দল আসছে। তারা লালমোহনের বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করবে। বিস্ফোরণের তীব্রতা কতটা ছিল, বিস্ফোরণে কী ব্যবহার করা হয়েছিল, তা পরীক্ষা করবে ফরেন্সিক দল। সেই সঙ্গে দেখালিতে উদ্ধার হওয়া গুলিটি ফরেন্সিক ল্যাবরেটরির ব্যালেস্টিক বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠাবে তারা।

কাঁথির এসডিপিও সৈয়দ মহম্মদ মামদোদুল হোসেন বলেন, “আমরা খেজুরির পুরো ঘটনায় কড়া নজর রেখেছি। কেউ দোষী প্রমাণিত হলে, কাউকে ছাড়া হবে না।’’

এই পরিস্থিতিতে খেজুরির গোড়াহার জলপাই গ্রামে রতন দাস নামে বিজেপি’র এক কর্মীকে মারধরে অভিযুক্ত হয়েছিল তৃণমূল। ওই ঘটনায় মঙ্গলবার পথ অবরোধ করেন স্থানী বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। মারধরে মঙ্গলবার গণেশ মণ্ডল নামে একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সে এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত। বুধবার গণেশকে কাঁথি আদালতে তোলা হয়। বিচারক তার ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন