ভীমশোলে তৈরি হয়েছে জলাধার। ছবি:নিজস্ব চিত্র
‘জঙ্গলমহল অ্যাকশন প্ল্যান’-এর টাকায় পশ্চিম মেদিনীপুরের নানা জায়গায় চাষের জন্য গভীর নলকূপ বসানো হয়েছে। এ বার ‘রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনা’তেও জলাধার তৈরি শুরু করেছে বন দফতর। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শালবনির পিরাকাটা রেঞ্জের ভীমশোল বিটের লালেরডিহিতে একটি বিশাল জলাধার তৈরি হয়েছে। খরচ হয়েছে ৪ লক্ষ ৯১ হাজার টাকা। ৪ লক্ষ ২২ হাজার টাকা ব্যয়ে অন্য একটি জলাধার তৈরির কাজ শুরু হচ্ছে ভীমশোল বিটেরই জামিরগোটে।
এই সব জলাধারে বৃষ্টির জল ধরে চাষের কাজে লাগানো হবে। জলাধারের জল পাম্পের সাহায্যে তুলে আশপাশের প্রায় ১০০ বিঘে জমিতে ছড়িয়ে দেওয়া যাবে। জলাধারের পাড়ে ফলের বাগান তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। আর জলাধারে হবে মাছ চাষ। এতে ভূগর্ভস্থ জলস্তরও বাড়বে। মেদিনীপুরের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা বলেন, ‘‘জল ধরো, জল ভরোর কথা মাথায় রেখেই এই জলাধারগুলি তৈরি করা হচ্ছে। এতে এলাকাবাসী উপকৃত হবেন।’’
ভবিষ্যতে জঙ্গলমহল অ্যাকশন প্ল্যানের টাকায় সেচের উন্নয়ন ঘটানো হবে। জলাধারে হাঁস পালনের পরিকল্পনাও রয়েছে। রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, ‘‘এই জলাধারকে কাজে লাগিয়ে এলাকাবাসী চাষ করতে পারবেন। মাছ চাষ ও হাঁস পালন করতে পারবেন। জঙ্গলের হাতিরাও জলাধারের জল পান করতে পারবে। এলাকায় ভূগর্গভস্থ জলস্তরও বাড়বে।’’ এই উদ্যোগের প্রশংসা করে জল সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের বক্তব্য, ‘‘বন দফতর খুবই ভাল কাজ করেছে। এতে জঙ্গলমহলে চাষের জলের সমস্যা কমবে। জঙ্গলে হাতিদের জল পানের সুবিধে হবে।’’
বন দফতর সূত্রে খবর, অনেক খোঁজাখুঁজি করেই জলাধারের স্থান নির্বাচন করা হয়েছে। একটু মাটি খুঁড়লেই জল পাওয়া যায়, এমন জায়গায় জলাধার বানানো হচ্ছে। যাতে ভবিষ্যতে জলাধারগুলি শুকিয়ে সমস্যা না হয়। জেলাসাশক জগদীশ প্রসাদ মিনা বলেন, ‘‘চাষের সুবিধার জন্য বন দফতর এই কাজ করছে। ভবিষ্যতে জঙ্গলমহলে উন্নয়নের আরও কাজ করা হবে।’’