বৃক্ষরোপণ: বনমহোৎসবে বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। নিজস্ব চিত্র
সবুজ বাঁচাতে এবার গাছের পরিচয় হবে পড়ুয়াদের নামে!
প্রতিটি গাছের পাশে থাকবে এক জন করে পড়ুয়ার নেমপ্লেট। সেটি কোনও ছাত্র বা ছাত্রীর। রোপণ করা চারাগাছ বাঁচাতে স্কুল কর্তৃপক্ষকে এমনই উপায় বাতলে দিলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। শুক্রবার ঝাড়গ্রামে রাজ্যস্তরের বনমহোৎসবের উদ্বোধন করে বিনয়বাবু জানান, যে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঁচিল রয়েছে, সেই সব স্কুল-কলেজকে একশোটি করে নানা প্রজাতির গাছের চারা বিনামূল্যে দেবে বন দফতর।
মন্ত্রীর প্রস্তাব, এক একজন পড়ুয়ার নামে এক একটি গাছের নামকরণ করা হলে, গাছগুলি বাঁচাতে খোদ পড়ুয়ারাই উদ্যোগী হবে। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী ঝাড়গ্রামকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেন। তাই এ বার রাজ্যস্তরের বনমহোৎসবের জন্য ঝাড়গ্রাম জেলাকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এদিন প্রথমে ঝাড়গ্রামের টেঙ্গিয়া এলাকায় গাছের চারা রোপণ করে রাজ্যব্যাপী ৫০ লক্ষ গাছের চারা লাগানোর কর্মসূচির সূচনা করেন বনমন্ত্রী। এরপর ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজের মাঠে আনুষ্ঠানিক ভাবে বনমহোৎসবের উদ্বোধন করেন বিনয়বাবু। ছিলেন অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণমন্ত্রী চূড়ামণি মাহাতো, জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, ঝাড়গ্রামের সাংসদ উমা সরেন, পুরপ্রধান দুর্গেশ মল্লদেব, বন দফতরের প্রধান সচিব চন্দন সিংহ, মুখ্য বনপাল নরেন্দ্রকুমার পাণ্ডে প্রমুখ। ছিলেন ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আর অর্জুন, পুলিশ সুপার অভিষেক গুপ্ত, ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের সভাধিপতি সমায় মাণ্ডি।
বনমন্ত্রী জানান, ঝাড়গ্রাম চিড়িয়াখানায় দশটি কৃষ্ণসার হরিণ আনা হচ্ছে। এছাড়াও উত্তরবঙ্গ থেকে আসছে দু’টি চিতাবাঘ। বনমন্ত্রীর কথায়, “উত্তরবঙ্গে জঙ্গল রক্ষা করতে গিয়ে বনকর্মীরা দুষ্কৃতীদের গুলির মুখে পড়ছেন। তবুও তাঁরা সজাগ-সতর্ক হয়ে কাজ করছেন। এখানেও সবুজ বাঁচাতে বনকর্মীদের সঙ্গে জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন।’’
রাজ্যের তিনটি রেঞ্জ ও দশটি বনসুরক্ষা কমিটিকে এ দিন পুরস্কৃত করেন বনমন্ত্রী। সবুজশ্রী প্রকল্পে তিনজন মায়ের হাতে গাছের চারা তুলে দেন তিনি। বনসৃজন ভিত্তিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে ‘ঝাড়গ্রাম কথাকৃতি’ সংস্থা এবং কোয়েল মিত্র ও সম্প্রদায়।