এ বার পর্যটনে জুড়বে বন দফতর

বেলপাহাড়ির প্রাকৃতিক দর্শনীয় এলাকাগুলিতে পরিকাঠামো উন্নয়ন ও সৌন্দর্যায়নের জন্য রাজ্যের কাছে পরিকল্পনা-প্রস্তাব পাঠিয়েছে ঝাড়গ্রাম বন বিভাগ। বিষয়টি রাজ্য সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৯:১০
Share:

ফাইল চিত্র।

বেলপাহাড়ির বেশির ভাগ দর্শনীয় জায়গাগুলি রয়েছে বনভূমি এলাকায়। তাই পর্যটন সংক্রান্ত পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজগুলি বন দফতরের মাধ্যমে হওয়া উচিত বলে মনে করেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। ঝাড়গ্রাম সফরে এসে জেলা প্রশাসনকে সে কথা জানিয়ে দিয়ে গিয়েছেন তিনি। তবে বন দফতরের মাধ্যমে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজে কতটা গতি আসবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনের অন্দরেই। কারণ, একাংশ ঠিকাদারের গড়িমসিতে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজকর্ম এখনও শেষ হয়নি। তবে প্রশাসনিক মহলের দাবি, বনভূমিতে সাধারণ প্রশাসনের কাজ করার ক্ষেত্রে নানা ধরনের আইনি জটিলতা থাকে। তাই এ ধরনের কাজ বন দফতরের মাধ্যমে হলে সমস্যা থাকে না।

Advertisement

ইতিমধ্যে বেলপাহাড়ির প্রাকৃতিক দর্শনীয় এলাকাগুলিতে পরিকাঠামো উন্নয়ন ও সৌন্দর্যায়নের জন্য রাজ্যের কাছে পরিকল্পনা-প্রস্তাব পাঠিয়েছে ঝাড়গ্রাম বন বিভাগ। বিষয়টি রাজ্য সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে। বন দফতর সূত্রের খবর, পরিকল্পনা প্রস্তাবের সচিত্র রিপোর্টটি সোমবার দেখে পছন্দ হয়েছে পর্যটনমন্ত্রীর। তিনি ঝাড়গ্রামের ডিএফও-কে দ্রুত প্রকল্পের ব্যয়বরাদ্দের আনুমানিক হিসেব পাঠাতে বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে প্রকল্প অনুমোদনের আশ্বাস দিয়েছেন গৌতম।

বেলপাহাড়ির জন্য বন বিভাগের প্রকল্পটি হল, ‘অল্টারনেটিভ লাইভলিহুড থ্রু কমিউনিটি বেসড ইকো ট্যুরিজম’। এই প্রকল্পে খাঁদারানি ঝিল চত্বরে যাওয়ার রাস্তা তৈরি, গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা, পানীয় জল, শৌচাগার, ঝিলের ধারে বসার জায়গা, স্থানীয় বন সুরক্ষা কমিটির সদস্যদের দিয়ে পরিচালিত ক্যাফেটেরিয়া তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে বন বিভাগ। স্থানীয় আদিবাসী মুলবাসীদের হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট ও গাইডের প্রশিক্ষণ দেওয়ারও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া যেখানে আদিম মানবের গুহা আছে, সেই লালজল এবং ঘাগরা নদীশিলা (রিভার রক) এলাকায় একই ধরনের পরিকাঠামো গড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ভুলাভেদা থেকে কাঁকড়াঝোরে যাওয়ার ১৫ কিমি পাহাড়ি জঙ্গল রাস্তায় ট্রেকিং কাম সাফারি রুট করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ওই রাস্তায় হেঁটে অথবা গাড়িতে রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা নিতে পারেন পর্যটকরা। সব কটি প্রকল্পে স্থানীয় আদিবাসী মূলবাসী মানুষজনকে যুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। ডিএফও (ঝাড়গ্রাম) বাসবরাজ হলাইচ্চি বলেন, ‘‘পর্যটনমন্ত্রীর নির্দেশে প্রকল্পের সম্ভাব্য খরচের বিবরণ দিয়ে বিস্তারিত এস্টিমেট সরকারের কাছে পাঠাব।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন