জেরায় হদিশ প্রতারণা চক্রের

তমলুক থেকে ধৃত মুর্শিদাবাদের তৃণমূল নেতা ও অন্য পাঁচ জনকে জেরা করে একটি প্রতারণা চক্রের সন্ধান পেল পুলিশ। ওই নেতা বিষ্ণুপদ জানা ও সঞ্জীব বাদলকে জেরা করে একাধিক তথ্য উঠে এসেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। জানা গিয়েছে, কলকাতার লেক টাউন এলাকায় তাঁদের একটি ডেরাও রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ ০২:৩৩
Share:

তমলুক থেকে ধৃত মুর্শিদাবাদের তৃণমূল নেতা ও অন্য পাঁচ জনকে জেরা করে একটি প্রতারণা চক্রের সন্ধান পেল পুলিশ। ওই নেতা বিষ্ণুপদ জানা ও সঞ্জীব বাদলকে জেরা করে একাধিক তথ্য উঠে এসেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। জানা গিয়েছে, কলকাতার লেক টাউন এলাকায় তাঁদের একটি ডেরাও রয়েছে।

Advertisement

প্রাথমিক ভাবে জেরার পর পুলিশ জানতে পেরেছে, নানা রকমের প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতানোর কাজে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত বিষ্ণুপদ ও তাঁর সঙ্গী সঞ্জীব। সে ভাবেই তমলুকের রামতারকহাট এলাকার বাসিন্দা দেবেন্দ্রনাথ মান্না ও প্রণবেশ জানাকে টোপ দিয়েছিলেন তাঁরা। তবে দেবেন্দ্র এবং প্রণবেশও কাঁচা খেলোয়াড় নন। তাঁরা বিষ্ণুপদদের বলেন, পুরনো নোটে কয়েক কোটি টাকা রয়েছে তাঁদের কাছে। বিষ্ণুপদরা পুরনো নোটের বদলে নতুন নোট দেওয়ার প্রলোভন দেখান। উদ্দেশ্য ছিল সঠিক সময়ে নিজেদের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের আধিকারিক পরিচয় দিয়ে ওই টাকা নিয়ে চম্পট দেওয়া। উল্টো দিকে প্রণবেশরাও ছক কষেন নতুন নোটে কয়েক কোটি টাকা বিষ্ণুপদদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়ার।

সেই উদ্দেশ্যেই বুধবার রাতে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কে জড়ো হয়েছিল ওই ছ’জন। যদিও হাওড়া শিবপুরের বাসিন্দা গণেশ বিশ্বকর্মা একটি অনলাইন ক্যাবের চালক। জানা গিয়েছে ওই রাতে তাঁর ক্যাব ভাড়া করেই মেদিনীপুরে এসেছিলেন সঞ্জীব, বিষ্ণুপদ ও সঞ্জয় মল্লিক। পরে আর একটি গাড়িতে আরও একজনের আসার কথা ছিল বলে দাবি পুলিশের। বৃহস্পতিবার তমলুক আদালতের নির্দেশে পুলিশ বিষ্ণুপদ ও সঞ্জীবদের নিজেদের হেফাজতে নেয়। জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে চক্রের সঙ্গে জড়িত আরও কয়েকজনের নাম জানতে পেরেছে বলে পুলিশের দাবি।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন