চন্দ্রকোনায় শুরু পুলিশের গুরুগিরি

অবৈতনিক কোচিং সেন্টার, পড়ুয়ারা প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির। স্কুলের পড়াটা আরও ভাবে বুঝিয়ে দেবেন পুলিশ এবং সিভিক ভলান্টিয়াররা। জেলা পুলিশের নতুন উদ্যোগ। মঙ্গলবার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে দুঃস্থ পড়ুয়াদের জন্য পুলিশের কোচিং।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঘাটাল শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:২৬
Share:

পড়া শিখতে হাজির পড়ুয়ারা। নিজস্ব চিত্র।

অবৈতনিক কোচিং সেন্টার, পড়ুয়ারা প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির। স্কুলের পড়াটা আরও ভাবে বুঝিয়ে দেবেন পুলিশ এবং সিভিক ভলান্টিয়াররা। জেলা পুলিশের নতুন উদ্যোগ।

Advertisement

মঙ্গলবার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে দুঃস্থ পড়ুয়াদের জন্য পুলিশের কোচিং। রহমানিয়া হাইস্কুলের কোচিং সেন্টারে স্থানীয় কৃষ্ণপুর, ইঁদা ও অন্যান্য গ্রামের মোট ২৪৫ জন পড়ুয়াকে নিয়ে প্রাথমিক ভাবে এই সেন্টার শুরু করেছে পুলিশ। সিভিক ভলান্টিয়ারদের সঙ্গে থাকবেন চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ কর্মী ও আধিকারিকরা। এ জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ চারটি ঘর ছেড়ে দিয়েছে।

জেলা পুলিশের এক পদস্থ কর্তার কথায়, ‘‘পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষের উদ্যোগে জেলার বিভিন্ন থানাতেই এই ধরনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। কোচিং সেন্টারে পড়ানোর যাবতীয় খরচ পুলিশ কর্মীরাই দেবেন।’’ জেলা পুলিশের একটি সূত্রের খবর, জনসংযোগ বাড়াতে পুলিশ বছরভর নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। শহর বা প্রত্যন্ত গ্রামের যুবকদের নিয়ে খেলাধুলো , রক্তদান শিবির, দুঃস্থ ছাত্র-ছাত্রী বই-খাতা বিতরণ— বাদ যায় না কিছুই। জঙ্গলমহলের বিভিন্ন ক্লাব বা প্রতিষ্ঠানকে খেলার নানা সরঞ্জাম দেওয়া, চিকিৎসা শিবিরও হয়ে থাকে।

Advertisement

এ বার দুঃস্থ ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে শুরু হল নিখরচায় কোচিং সেন্টার। আপাতত প্রথম শ্রেণি থেকে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়েই এটি চালু হয়েছে। পুলিশের একটি সূত্রের খবর, এখানে স্কুলপাঠ্যের পাশাপাশি সাধারণ জ্ঞান, ইংরাজির বিশেষ ক্লাসও নেবেন ‘শিক্ষক’ সিভিক ভলান্টিয়াররা। নিখরচায় খাতা, কলম-সহ অনান্য সামগ্রীও দেওয়া হবে পড়ুয়াদের।

স্কুলের পর নির্দিষ্ট সময়ে পড়ুয়ারা আসবে কোচিং সেন্টারে। আর পুলিশের ডিউটি সেরে আসবেন শিক্ষকরা। সে জন্য কে কবে পড়াবেন, তার তালিকাও তৈরি হয়ে গিয়েছে। পুলিশের উদ্যোগে খুশি কৃষ্ণপুর গ্রামের অভিভাবকেরাও। খুশি চন্দ্রকোনা থানার বিধায়ক ছায়া দোলইও। তিনি বলেন, “পুলিশের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে পুলিশের পাশে আছি। প্রয়োজন হলে আমিও সাহায্য করব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন