মোবাইল অ্যাপে সিভিক ভলান্টিয়াররাও

কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন বিভাগে মোবাইল অ্যাপ রয়েছে। আলাদা অ্যাপ রয়েছে ট্রাফিক পুলিশের। এ বার সিভিক ভলান্টিয়ারদেরও আধুনিক এই প্রযুক্তির আওতায় আনতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁথি ও মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০১৭ ০১:৫৭
Share:

কাজের সুবিধার্থে মোবাইল অ্যাপ চালু হচ্ছে সিভিক ভলান্টিয়ারদের জন্য। ‘টাস্ক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ (টিএমসি) নামে এই অ্যাপে সিভিক ভলান্টিয়াররা ডিজি, আইজি স্তর পর্যন্ত পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবেন।

Advertisement

ইতিমধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এই অ্যাপ চালুর তোড়জোড় শুরু হয়েছে। জেলার পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “এই পদ্ধতি চালুর জন্য ইতিমধ্যে নন্দীগ্রাম থানায় প্রশিক্ষণ শিবির হয়েছে। বেশ কিছু সিভিক ভলান্টিয়ার ও পুলিশ আধিকারিক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।’’

কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন বিভাগে মোবাইল অ্যাপ রয়েছে। আলাদা অ্যাপ রয়েছে ট্রাফিক পুলিশের। এ বার সিভিক ভলান্টিয়ারদেরও আধুনিক এই প্রযুক্তির আওতায় আনতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার।

Advertisement

কী ভাবে কাজ করবে এই অ্যাপ? পুলিশ জানাচ্ছে, মোবাইলে এই অ্যাপ থাকলে সিভিক ভলান্টিয়াররা খবর জিপিএস পদ্ধতির মাধ্যমে পুলিশের উপর মহল পর্যন্ত তৎক্ষণাৎ জানিয়ে দিতে পারবেন। ‘শেয়ার’ করতে পারবেন জরুরি ছবি। পুলিশ কর্তারাও প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে পারবেন অ্যাপে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ় সূত্রের খবর, শীঘ্রই এখানে এই অ্যাপ চালু হয়ে যাবে। এর জন্য জেলার প্রতিটি থানার একজন করে সাব ইন্সপেক্টরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পরে আরও পুলিশ আধিকারিককে এই সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

পূর্ব মেদিনীপুরে এই অ্যাপ চালুর তোড়জোড় শুরু হলেও পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে এখনও এই প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। তবে এই দুই জেলাতেই পুলিশের প্রতিটি স্তর হোয়াটস্‌ অ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে সংযুক্ত।
সেখানেই তাঁরা পারস্পরিক তথ্য, ছবি আদান-প্রদান করেন। এতে কোনও ঘটনা ঘটলে পুলিশের কাছে খবর পৌঁছনো সহজ হয়। পুলিশকর্মীরাও দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারেন। তাছাড়া সিভিক ভলান্টিয়ারদের অনেকেই প্রত্যন্ত এলাকায় থাকেন। ফলে, প্রত্যন্ত এলাকার খবরাখবরও খুব সহজে পুলিশের কাছে পৌঁছে যায়। জানা গিয়েছে, রাজ্যের ২৩টি থানাতে গত সপ্তাহে চালু হয়ে গিয়েছে এই অ্যাপের ব্যবহার। পূর্ব মেদিনীপুরে সামনের সপ্তাহেই চালু হয়ে যেতে পারে বলে খবর।

গত লোকসভা ভোটের আগে রাজ্য জুড়ে ১ লক্ষ ৩০ হাজার সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করেছিল সরকার। তখন অবশ্য তাদের নাম ছিল সিভিক পুলিশ। পরে ‘পুলিশ’ শব্দটি ছেঁটে ভলান্টিয়ার শব্দটি যোগ করা হয়। নিচুতলায় যোগাযোগের ক্ষেত্রে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। পুলিশের এক কর্তা মানছেন, “সিভিক ভলান্টিয়ারদের মাধ্যমে পুলিশ নিচুতলায় যোগাযোগ বাড়াতে অনেকটা সক্ষম হয়েছে।” অ্যাপ চালু হলে খবর আদান-প্রদানের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে বলে আশা।

অ্যাপ চালুর উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছে সিভিক ভলান্টিয়ারদের সংগঠনও। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সঞ্জয় পড়িয়া বলেন, “মোবাইল অ্যাপ চালু হলে ভালই হবে। শুধু ঘটনার তথ্য আদান-প্রদান নয়, সিভিক ভলান্টিয়ারদের কার, কোথায় ডিউটি, তাও সহজে জেনে নিতে পারবেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন