চলছে সৈকত পরিষ্কারের কাজ। —নিজস্ব চিত্র।
মন্দারমণি সৈকতে যান চলাচলে জেলাশাসকের নিষেধাজ্ঞা জারির পর এ বার সৈকতের পরিচ্ছন্নতায় উদ্যোগী হল প্রশাসন। রবিবার রামনগর-১ ব্লক ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সৈকতে সাফাই অভিযান চালানো হয়। হাজির ছিলেন বিধায়ক অখিল গিরি, রামনগর-১ বিডিও প্রীতম সাহা, এসডিপিও কাজী সামসুদ্দিন আহমেদ-সহ মন্দারমণি হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা, ও পরিবহন কর্মীরা।
সাফাই অভিযানের আগে সৈকতপাড়ে এক সচেতনতা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়ক অখিল গিরি জানান, মন্দারমণি পর্যটন কেন্দ্রের উন্নয়ন নিয়ে রাজ্য সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছেন। সৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তায় নুলিয়া, নজরদারি ব্যবস্থা করা ছাড়া উপকূল থানা, ওয়াচ টাওয়ার, মন্দারমণি যাওয়ার বিকল্প রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে মন্দারমণিকে আরও সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন করে গড়ে তোলার জন্য স্থানীয় হোটেল ও অন্যান্য ব্যবসায়ী ও পরিবহন শ্রমিকদের এগিয়ে আসার কথা বলেন। অখিলবাবুর কথায়, ‘‘মন্দারমণি পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে না বাঁচাতে পারলে এখানকার হোটেল পরিবহণ ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অনেকের জীবন জীবিকা সঙ্কটে পড়বে।’’
মন্দারমণিতে ইতিমধ্যেই নুলিয়া ব্যবস্থা চালু হওয়ার কথা জানিয়ে বিডিও প্রীতম সাহা বলেন, ‘‘পর্যটকদের স্বাচ্ছন্দের জন্য বিশ্রামাগার, সৈকতপাড়ে স্নানাগার ও শৌচালয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।” এসডিপিও কাজী সামসুদ্দিন আহমেদ জানান, “সৈকতে যান চলাচল বন্ধ করার জন্য জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে মন্দারমণিতে উপকূল থানা চালু করা ছাড়াও সৈকতপাড়ে তিনটি ড্রপগেট ও একটি ওয়াচ টাওয়ার বসানো হচ্ছে। যেখানে ২৪ঘন্টা ধরে উপকূল থানার পুলিশ কর্মী পাহারা ছাড়াও ওয়াচ টাওয়ারে সিসিটিভি বসিয়ে সৈকতজুড়ে পর্যবেক্ষন রাখা হবে। সৈকত ছাড়াও ১২ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত সমুদ্র গভীরেও উপকূল থানার পুলিশ নজরদারি চালাবে।”
মন্দারমণিকে অন্যতম পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করতে প্রশাসনকে সব রকমের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সন্দীপন বিশ্বাস। মন্দারমণি সৈকতে সাফাই অভিযান চালানোর সময় সৈকতে নোংরা ফেলা থেকে বিরত থাকার জন্য পর্যটক ও সৈকতের হকারদের অনুরোধ জানানো হয়।