নাটকেই প্রাণ খুঁজে পান ওঁরা। তাই সারাদিন হাড়ভাঙা খাটুনির পরেও নিয়মিত মহড়ায় হাজির হয়ে যান। নিয়ম করে শো হয় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে, এমনকী ভিন্ রাজ্যেও। গড়বেতার সেই ‘আমরা নবীন’ নাট্যগোষ্ঠী এ বার ৪২-এ পা দিল। আর সেই উপলক্ষে শনি-রবি দু’দিনের নাট্যোত্সব হল গড়বেতা অডিটোরিয়ামে। দু’দিনে মোট ৬টি নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন নাট্যদলের পাশাপাশি বিষ্ণুপুর, দক্ষিণেশ্বর থেকেও বিভিন্ন নাটকের দল উৎসবে যোগ দিয়েছে। মঞ্চস্থ হয়েছে খেলাঘর, পূর্বজন্মের ভাই, ক্ষয় প্রভৃতি নাটক। গড়বেতার মতো প্রত্যন্ত এলাকাতেও ৩০ টাকা দিয়ে নাটক দেখতে রীতিমতো ভিড় জমেছিল। আয়োজক নাট্যগোষ্ঠীর সম্পাদক দেবাশিস পলমল বলেন, “প্রায় ১৮ বছর ধরে নাট্যোত্সব করছি। এ বারই প্রথম দেখলাম নাটক দেখার প্রতি মানুষের আকর্ষণ অনেকটা বেড়েছে।”
গড়বেতার এই নাট্যগোষ্ঠীর সদস্যরা নাটক পরিবেশন করতে কখনও গিয়েছেন অসম, দিল্লি তো কখনও ইলাহাবাদ। একাঙ্ক নাটক ক্ষয়, সারারাত্রি বা পূর্ণাঙ্গ নাটক আন্তিগোনে, খেলা যখন, শেষ নেই সবই মঞ্চস্থ করেছেন তাঁরা। টিকিট বিক্রির সামান্য টাকায় অবশ্য খরচ ওঠে না। শুভানুধ্যায়ীদের সাহায্যে ও নিজেদের পকেট থেকে চাঁদা দিয়েই চলে দল।
‘আমরা নবীন’-এর সহ-সভাপতি তপন দত্ত বলছিলেন, “সুস্থ সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল তৈরির লক্ষ্যেই এখনও নাটক ছাড়তে পারিনি। ছেলের হাত ধরে বাবা-মায়েরা যখন নাটক দেখতে আসেন তখন মনে হয় সব পরিশ্রম সার্থক। নাটকের জন্য পথচলার শক্তিটাও পেয়ে যাই।”