ধর্ষণে মৃত কিশোরী, অভিযোগ ঘাটালে

ধর্ষণের ফলে বছর ষোলোর এক কিশোরীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠল পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে। কিশোরীর বাড়ি চন্দ্রকোনা থানার ডিঙাল কামারগেড়িয়া গ্রামে। বাবা ভিক্ষে করেন আর মা সংসার চালাতে ধূপকাঠি বানান। তার তিন বোন। এই মেয়েটিই ছিল সকলের বড়। অভাবের জেরে কয়েক বছর আগে স্কুল ছেড়েছিল সে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঘাটাল শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:০৫
Share:

ধর্ষণের ফলে বছর ষোলোর এক কিশোরীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠল পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে।

Advertisement

কিশোরীর বাড়ি চন্দ্রকোনা থানার ডিঙাল কামারগেড়িয়া গ্রামে। বাবা ভিক্ষে করেন আর মা সংসার চালাতে ধূপকাঠি বানান। তার তিন বোন। এই মেয়েটিই ছিল সকলের বড়। অভাবের জেরে কয়েক বছর আগে স্কুল ছেড়েছিল সে।

মৃতার মা জানিয়েছেন, রবিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ চন্দ্রকোনা শহরে এক আত্মীয়ের বাড়ি যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ওই কিশোরী। বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ ঘাটাল-ডিঙাল রুটের এক ট্রেকার চালক এসে ওই কিশোরীর মাকে জানান, তাঁর মেয়েকে ঘাটাল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তড়িঘড়ি ঘাটাল রওনা দেন মা। হাসপাতালে এসে মেয়েকে আর জীবিত দেখতে পাননি তিনি। তবে তাঁর স্বামী কিছুক্ষণ আগে হাসপাতালে পৌঁছন। তখন ওই কিশোরী জীবিত ছিল।

Advertisement

ঘাটাল মহকুমা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিকেল পাঁচটা নাগাদ বছর পঁয়ত্রিশের এক মহিলা ও এক যুবক ওই কিশোরীকে হাসপাতালে ভর্তি করান। তবে ওই দু’জনের পরিচয় জানা যায়নি। হাসপাতালে ওই কিশোরীর চিকিৎসা শুরু হলেও আধ ঘণ্টার মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই মৃত্যু হয়েছে তার।

কিন্তু কে বা কারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। রবিবার রাতে মৃতার পরিবারের তরফে ঘাটাল থানায় ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে তাতে অভিযুক্ত হিসেবে কারও নাম নেই। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, এ দিন দুপুরে মোটর সাইকেল আরোহী দুই যুবক ঘাটাল থানার রাধানগরের কাছে ওই কিশোরীকে ফেলে রেখে যায়। ওই দু’জন কারা, কারাই বা কিশোরীকে হাসপাতালে ভর্তি করাল, ধর্ষণের ঘটনা কোথায় ঘটল মৃতার মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে এ সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে। আমরা সব দিক খতিয়ে দেখছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন