-তছনছ ঘর। নিজস্ব চিত্র।
বাড়িতে ঢুকে আলমারি ভেঙে নগদ প্রায় দু’লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। ঝাড়গ্রাম শহরের বাছুরডোবা এলাকার ঘটনা। ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার সুখেন্দু হীরা বলেন, “তদন্তে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাছুরডোবায় বাড়ি ওষুধ ব্যবসায়ী সোমনাথ মণ্ডলের। সোমনাথবাবুর বাড়িতেই শুক্রবার গভীর রাতে চুরির ঘটনাটি ঘটে। ছেলে অর্ঘ্য পড়াশোনার সূত্রের পুণেতে থাকেন। স্ত্রী মনোমিতাদেবী গৃহবধূ। ওই দিন বাড়িতে ছিলেন সস্ত্রীক সোমনাথবাবু। রাত আড়াইটে নাগাদ একটা আওয়াজ হয়। তবে এই ব্যবসায়ীর মনে তেমন সন্দেহ হয়নি। দোতলা বাড়ি। সোমনাথবাবুরা বাড়ির দোতলার ঘরেই ছিলেন। তাঁর কথায়, “গভীর রাতে একটা আওয়াজ শুনি। তখন রাত আড়াইটে হবে। তবে একাধিকবার ওই আওয়াজ হয়নি। তাই তেমন সন্দেহ হয়নি।”
শনিবার সকালে মনোমিতাদেবী বাড়ির ব্যালকনিতে এসেই চমকে ওঠেন। দেখেন, একতলার ঘরের একটি জানলার গ্রীল ভাঙ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ওই ঘরে ছুটে যান তিনি। দেখেন ঘরের আলমারি ভাঙা। জিনিসপত্রও তছনছ হয়ে রয়েছে। আলমারিতে যে নগদ প্রায় দু’লক্ষ টাকা ছিল তাও নেই। সোমনাথবাবুর বাড়ির অদূরেই একটি ক্লাব রয়েছে। এই ক্লাবে বাইরের ছেলেরা মাঝেমধ্যে আসে বলে অভিযোগ।
এলাকাবাসীর বক্তব্য, সব জেনেও ক্লাবের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয় না পুলিশ- প্রশাসন। তৃণমূল কাউন্সিলর মহাদেব মাহাতো বলেন, “ওখানে একটি ক্লাব রয়েছে। তবে বাইরের ছেলেরা আসে বলে জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখছি!” প্রাথমিক ভাবে পুলিশ নিশ্চিত, চুরির ঘটনায় একাধিকজন যুক্ত। না হলে এ ভাবে গ্রিল ভেঙে ঘরের মধ্যে ঢোকা সম্ভব হত না।