শঙ্কর বেরা। —নিজস্ব চিত্র।
শেষ পর্যন্ত প্রধান হলেন ‘নতুন মুখ’ শঙ্কর বেরা। তবে এ নিয়ে চাপান উতোর কম হয়নি। শেষ পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে তৃণমূল জেলা সভাপতিকে। বৃহস্পতিবার রাতেই এগরার নব নির্বাচিত কাউন্সিলরদের নিয়ে কাঁথিতে বৈঠকে বসেন শিশির অধিকারী ও সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই স্থির হয়ে যায়, পুরপ্রধানের নাম।
শুক্রবার বেলা ১১টা নাগাদ এগরা পুরভবনে মহকুমাশাসকের উপস্থি্তিতে শপথ গ্রহণ করেন নতুন কাউন্সিলররা। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হন হরিপদ বেরা। পুরপ্রধান নির্বাচিত শঙ্কর বেরা।
১০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে শঙ্করবাবু এ বারই প্রথম জয়ী হয়েছেন পুরভোটে। এ দিকে পুর প্রধান হিসাবে আরও যে দু’জনের নাম নিয়ে আলোচনা হয়েছিল সেই পারুল মাইতি এবং তপন করকে নিয়ে শুরু হয়েছে চাপান উতোর। সূত্রের খবর পুরপ্রধানের হাতে আনুষ্ঠানিক ভাবে দায়িত্ব তুলে দেওয়ার অনুষ্ঠানে অন্য সব কাউন্সিলররা উপস্থিত থাকলেও দেখা মেলেনি এই দু’জনের। এমনকী পরে তৃণমূলের পক্ষ থেকে যে সভার আয়োজন করা হয়, সেখানেও ছিলেন না তাঁরা। স্বর্ণময়ী বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে ওই প্রকাশ্যসভায় ছিলেন এগরা ও ভগবানপুরের বিধায়ক, এগরা, পটাশপুর ও মোহনপুরের তৃণমূল নেতারা।
সভায় অনুপস্থিতি নিয়ে ১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পারুল মাইতি অবশ্য বলেন, ‘‘শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে ছিলাম। পরে ভাল লাগেনি তাই চলে এসেছি।’’ এ বিষয়ে এগরা পুরভোটে তৃণমূলের আহ্বায়ক ও বিধায়ক সমরেশ দাস বলেন, ‘‘আলোচনার পরই শঙ্কর বেরার নাম দল থেকে চূড়ান্ত করা হয়েছে। দুই কাউন্সিলর কেন সভায় আসেননি সে ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দেখব।’’
নেতারা যাই বলুন, এগরা বেশ বুঝতে পারছে গত পুরবোর্ডের মতোই আবারও দুই গোষ্ঠীর রেষারেষি শুরু হল। তবে নতুন প্রধান সে সব ভাবছেন না। দল ও নেতৃত্বের প্রতি একান্ত আনুগত্য দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘‘পিছিয়েপড়া পুরসভা হিসেবে প্রথমেই এগরার উন্নয়নে মন দেব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণা নিয়ে শুভেন্দু ও শিশির অধিকারী-সহ বিধায়ক সমরেশ দাসের নির্দেশ মেনে চলব।’’