মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ। ঝাড়গ্রামে। নিজস্ব চিত্র
মারধরের ফলেই আহত হয়েছিলেন খড়্গপুরের কৌশল্যার যুবক দেবদাস কুণ্ডু। ঝাড়গ্রাম জিআরপি থানা সূত্রের খবর, প্রাথমিক তদন্তে এমনই ইঙ্গিত।
বুধবার ঝাড়গ্রাম জিআরপি থানার এক অফিসার জানান, তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে। অভিযুক্ত আরপিএফ জওয়ানেরা বর্তমানে কেউ ঝাড়গ্রামে নেই। তবে প্রাথমিক ভাবে এটুকু বোঝা গিয়েছে যে, ঘটনার দিন মারধর করা হয়েছিল দেবদাসকে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত চারজন জওয়ানকে যে অন্যত্র সাময়িক সময়ের জন্য বদলি করা হয়েছে তা স্বীকার করে নিয়েছেন খড়্গপুর রেলের সিনিয়র ডিভিশনাল সিকিউরিটি কমিশনার অশোককুমার রায়ও। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ চলছেই। এ দিন মানবাধিকার কর্মীরা ঝাড়গ্রাম স্টেশনে মিছিল করেন। খড়্গপুরের কৌশল্যাতে বেরিয়েছিল মৌনী মিছিল। অশোকবাবু এ দিন বলেন, ‘‘জিআরপি রিপোর্ট হাতে না পেলে ওই দিন কর্তব্যরত আরপিএফদের সাসপেন্ড বা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারব না।’’
এ দিন সাড়ে ৫টা নাগাদ ঝাড়গ্রামের কুমুদকুমারী ইনস্টিটিউশন থেকে মানবাধিকার কর্মীদের মিছিল শুরু হয়। শহরের বিভিন্ন জায়গা পরিক্রমা করে তা শেষ হয় স্টেশন চত্বরে। সেখানে জ্বালানো হয় মোমবাতি। স্টেশন চত্বরেই পথ সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে অভিযুক্তদের শাস্তির পাশাপাশি পর্যাপ্ত প্রস্রাবাগার তৈরির দাবি জানানো হয়। সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী ৪ অগস্ট স্টেশন চত্বরেই গণ অবস্থান হবে। খড়্গপুর শহরের কৌশল্যা এলাকাতেও শাসকদলের নেতা নির্মল ঘোষের নেতৃত্বে নাগরিকদের নিয়ে মৌনী মিছিল হয়। কৌশল্যা মোড় থেকে শুরু করে দেবদাসদের বাড়ি পর্যন্ত যায় সেই মিছিল।
ঘটনার পর আহত দেবদাসকে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। হাসপাতালের সুপার মলয় আদক বলেন, “অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় দেবদাসবাবুকে রেফার করা হয়েছিল। তবে তিনি চিকিত্সাধীন থাকাকালীন এক আরপিএফ আধিকারিক আঘাতের রিপোর্ট জানতে চেয়েছিলেন। এভাবে রিপোর্ট আরপিএফের হাতে দেওয়া সম্ভব নয় সেটা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।”
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, গত ২৪ জুন ঝা়ড়গ্রাম স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় প্রস্রাব করার দায়ে দেবদাসকে মারধর করেছিল কর্তব্যরত আরপিএফ জওয়ানরা। ঝাড়গ্রাম হাসপাতাল থেকে তাঁকে পাঠানো হয় এসএসকেএমে। রবিবার সেখানেই মৃত্যু হয় দেবদাসের। জিআরপি থানায় অভিযোগ করে পরিবার। তা সত্ত্বেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।