শবরপল্লিতে স্বাস্থ্য শিবির

জেলা প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, ‘‘বলা যায় জেলার স্বাস্থ্য পরিষেবার খোঁজখবর নিতে পুরো স্বাস্থ্য ভবনই জেলায় এসেছিল! এটা ভাল উদ্যোগ।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৮ ০২:০৪
Share:

এ বার পশ্চিম মেদিনীপুরের শবরপল্লিতে হবে স্বাস্থ্য শিবির। বুধবার মেদিনীপুরে এক উচ্চপর্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠক হয়। ছিলেন রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব (স্বাস্থ্য) রাজীব সিংহ। বৈঠকে ওই শিবির শুরুর প্রস্তাব আসে। জেলার তরফ থেকেই প্রস্তাব দেওয়া হয়। শোনামাত্র অতিরিক্ত মুখ্যসচিব সম্মতি দেন বলে প্রশাসনের এক সূত্রে খবর।

Advertisement

বৈঠক শেষে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা মেনেছেন, ‘‘জেলায় এমন কিছু এলাকা রয়েছে যেখানে লোধা-শবরেরা বসবাস করেন। ওই সব এলাকায় এ বার বাড়ি বাড়ি স্বাস্থ্য পরিষেবা শুরু হবে।’’ এ ক্ষেত্রে জেলার পরিকল্পনা ঠিক কী? জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক সূত্র জানাচ্ছে, পরিকল্পনার দিকগুলো এ দিনের বৈঠকে জানানো হয়েছে। এক সময়ে এক প্রকল্প ছিল। অনেকটা সেই প্রকল্পের ধাঁচেই এই পরিকল্পনা। এ ক্ষেত্রে শবরপল্লিতে স্বাস্থ্য শিবির হবে। সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদের প্রশাসনিক উদ্যোগে গাড়িতে করে শিবিরে নিয়ে আসা হবে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে ফের গাড়িতে করে বাড়িতে ছেড়ে আসা হবে। জেলার এক স্বাস্থ্যকর্তার কথায়, ‘‘ওই সব এলাকার অনেকে স্বাস্থ্য শিবিরে আসতে চান না। এলাকার সকলকে শিবিরে আনাই এই পরিকল্পনার লক্ষ্য।’’ গিরীশচন্দ্রবাবু বলেন, ‘‘সচেতনতার কিছু অভাব রয়েছে। জনসচেতনতা গড়ে তোলারও সব রকম চেষ্টা চলছে।’’

বুধবার মেদিনীপুরে কালেক্টরেটের সভাকক্ষে এই বৈঠক হয়। অতিরিক্ত মুখ্যসচিবের (স্বাস্থ্য) পাশাপাশি ছিলেন সুরেন্দ্র গুপ্ত, গুলাম আলি আনসারি প্রমুখ রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পদস্থ আধিকারিক। জেলা প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, ‘‘বলা যায় জেলার স্বাস্থ্য পরিষেবার খোঁজখবর নিতে পুরো স্বাস্থ্য ভবনই জেলায় এসেছিল! এটা ভাল উদ্যোগ।’’

Advertisement

প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, বৈঠকের শুরুতে জেলার সার্বিক স্বাস্থ্যচিত্রটা। কী জেলার তরফ থেকে নির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব দেওয়া হয়। যেমন, মেদিনীপুর গ্রামীণের চাঁদড়া হাসপাতালের শয্যা বাড়ানোর। ১৫ থেকে ৩০টি করার। পিংলা-সহ কিছু ব্লকে নতুন স্বাস্থ্যকেন্দ্র খোলার। কিছু স্বাস্থ্যকেন্দ্র সংস্কার করার।

বৈঠক শেষে জেলাশাসক পি মোহনগাঁধী বলেন, ‘‘অতিরিক্ত মুখ্যসচিব-সহ রাজ্যের পদস্থ আধিকারিকেরা এসেছিলেন। গ্রামাঞ্চলে যাঁরা স্বাস্থ্য পরিষেবার কাজ করেন, তাঁদের কথাও শুনেছেন। বৈঠকে জেলার তরফে কিছু প্রস্তাব রাখা হয়। পরিকাঠামোগত কিছু সমস্যার কথাও উঠে আসে। ওঁরা সব শুনেছেন।’’ এক সপ্তাহের মধ্যে লিখিত প্রস্তাব চাওয়া হয়েছে? জেলাশাসক মানছেন, ‘‘প্রস্তাবগুলো লিখিত আকারে এক সপ্তাহের মধ্যে দিতে বলেছেন ওঁরা। আমরা দিয়ে দেবো।’’ ফাঁকফোকর তো অনেক? জেলাশাসকের জবাব, ‘‘কিছু রয়েছে। কী কী ফাঁক রয়েছে ওঁরা জেনেছেন। সবদিক খতিয়ে যে পদক্ষেপ করার করবেন বলে আশ্বাসও দিয়েছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন