চার দিনের ব্যবধানে ফের বেলপাহাড়িতে রাজ্য পুলিশের আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) সিদ্ধিনাথ গুপ্ত’র নেতৃত্বে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হল। সোমবার কাঁকড়াঝোর সিআরপি ক্যাম্পে আয়োজিত ওই বৈঠকে আইজি ছাড়াও ছিলেন ডিআইজি (মেদিনীপুর রেঞ্জ) বিশাল গর্গ, ডিআইজি (সিআরপিএফ) বি ডি দাস-সহ সিআরপি ও কোবরা বাহিনীর উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। বৈঠক নিয়ে মুখ খুলতে চান নি পুলিশ কর্তারা।
সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ড সীমানাবর্তী শিমুলপাল ও বাঁশপাহাড়ি পঞ্চায়েতের গ্রাম গুলিতে মাওবাদীদের প্রভাব বাড়ায় চিন্তা বেড়েছে পুলিশের। সেই কারণেই মাওবাদীদের বিরুদ্ধে রণ কৌশল স্থির করতেই এদিন সিআরপি’র ক্যাম্পে গিয়ে বৈঠক করলেন আইজি। ইতিমধ্যে ছত্তীসগঢ় থেকে আসা মাওবাদীদের একটি দল এলাকায় ঘুরে গিয়েছে বলেও খবর পেয়েছেন গোয়েন্দারা। গত কয়েক দিন ধরে ঝাড়খণ্ড সীমান্তের গ্রামগুলিতে পর্যায়ক্রমে মাওবাদীদের নামাঙ্কিত পোস্টার পাওয়া যাচ্ছে। স্বাধীনতা দিবসের আগে প্রচার পাওয়ার জন্য মাওবাদীরা এলাকায় কিছু ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার বেলপাহাড়ি থানায় পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া এই তিন জেলার পুলিশ সুপারদের নিয়ে মাওবাদী দমন সংক্রান্ত এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছিলেন আইজি। এ বার কাঁকড়াঝোরে সিআরপি ক্যাম্পে আইজি’র বৈঠক ঘিরে এলাকায় মাওবাদী তৎপরতা বাড়ার সংকেত বলে মনে করছে বিভিন্ন মহল। সম্প্রতি গোয়েন্দা সূত্রে মাওবাদী সক্রিয়তা বাড়ার ইঙ্গিত দেওয়া হলেও ভিলেজ পুলিশদের কাছ থেকে এমন কোনও তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশের মধ্যে সন্দেহ দানা বাঁধছে, এলাকার পরিবর্তিত আবহে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ মাওবাদী সংক্রান্ত তথ্য পুলিশকে জানাচ্ছেন না। পুলিশের উদ্যোগে নিয়মিত দান খয়রাতির জনসংযোগ কর্মসূচিতেও কাজ হচ্ছে না বলে মনে করছেন এলাকাবাসীর একাংশ। সেখানেও রাজনৈতিক রং দেখে দরিদ্র বাসিন্দাদের প্রাপক-তালিকা তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।