খাতা-কলম হাতে স্কুলে। নিজস্ব চিত্র
স্কুলে এসে পড়াশোনা না করলে চলে। বিশেষ করে পড়ুয়ার দল যখন কাগজ, পেন এগিয়েই দিয়েছে। তাই দোতলার বারান্দায় বসেই শুরু হয় কাগজে আঁকিবুঁকি কাটা। বৃহস্পতিবার এক হনুমানের স্কুল সফর ঘিরে রীতিমতো হুলস্থুল কাণ্ড বাধল নয়াগ্রামে।
চাঁদবিলা এসসি হাইস্কুলে তখন সবে দ্বিতীয় পিরিয়ড শুরু হয়েছে। হঠাৎ সেখানে হাজির পবন নন্দন। জায়গাটা তার মোটেও অচেনা নয়। কারণ, ঘুরতে ঘুরতে আগেরদিনই স্কুলে এক চক্কর ঘুরে গিয়েছিল সে। এ দিন ক্লাস চলাকালীন তাকে দেখে অনেকেই শ্রেণিকক্ষে ঢুকে পড়ে খিল দেয়। এরপর হনুমানটি বারান্দায় ঘুরে বে়ড়াতে থাকে। সেসময়ে কয়েকজন পড়ুয়া হাতে গুঁজে দেয় কাগজ আর পেন। কিছু পড়ুয়া আতঙ্কে চিৎকার শুরু করতেই বদলে যায় পরিস্থিতি। সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী তাপসী মাহাতোর মাথায় চড়ে বসে সে। ভয়ে আর্তনাদ করতে থাকে তাপসী। ভ্যাবাচাকা খেয়ে হনুমানটি লাফিয়ে নামতে গেলে তার হাতের ঝটকায় ছাত্রীটির কানের লতির কিছুটা কেটে যায়।
স্কুলের টিচার ইনচার্জ পর্ণরেখা সামদে বলেন, “ভয়ে পড়ুয়ারা চিত্কার ওঠায় হনুমানটি এক ছাত্রীর মাথায় চড়ে বসেছিল। এই ছাত্রী কিছুটা জখম হয়েছে।” স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও প্রতিষেধক না হয় নয়াগ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাপসীকে। সেখানে চিকিত্সার পরে বনকাটা গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয় তাকে।
আরও পড়ুন: ‘স্যর মারতেই পারেন’, বরাহনগরে বিক্ষোভ
এদিন স্কুল কর্তৃপক্ষ বন দফতরকে খবর দেন। চাঁদাবিলা রেঞ্জ অফিসের কর্মীরা এসে হনুমানটিকে ধরার চেষ্টা করেও সফল হননি। স্কুলে আসার আগে আরেক কাণ্ড ঘটিয়েছে হনুমানটি। নিজের কোয়ার্টারের বাইরে বসে প্রাতঃরাশ সারছিলেন চাঁদাবিলার ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার বিশ্বনাথ মুদি। হঠাৎ তাঁর মাথার উপর চেপে বসে হনুমানটি। বিশ্বনাথের কথায়, ‘‘আমার ঘাড়েও হনুমানটি চেপে বসেছিল। রুটি আর গাজর দিতেই আবার নিজেই ঘাড় থেকে নেমে চলে গেল।’’ তিনি জানিয়েছেন, হনুমানটি ধরে গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে।”
কিন্তু ধরা দিলে তো!