সাজছে কনকদুর্গা মন্দিরের ভোগঘর

চিল্কিগড়ের ঐতিহ্যপ্রাচীন কনকদুর্গা মন্দিরের ভোগঘরটি সাজানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে সাত লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে জামবনি পঞ্চায়েত সমিতি। মন্দিরের পিছনে ভাঙাচোরা ভোগ ঘরটির চারপাশে ভিত খুঁড়ে নতুন ভোগঘর তৈরি হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জামবনি শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৭ ০১:২৫
Share:

ব্যস্ততা: চলছে ভোগঘর তৈরির কাজ। নিজস্ব চিত্র

চিল্কিগড়ের ঐতিহ্যপ্রাচীন কনকদুর্গা মন্দিরের ভোগঘরটি সাজানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে।

Advertisement

প্রথম পর্যায়ে সাত লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে জামবনি পঞ্চায়েত সমিতি। মন্দিরের পিছনে ভাঙাচোরা ভোগ ঘরটির চারপাশে ভিত খুঁড়ে নতুন ভোগঘর তৈরি হচ্ছে। নতুন ভোগ ঘর তৈরি হলে সেখানে ভোগ রান্নার পাশাপাশি, অনেকের পাত পেড়ে খাওয়ার ব্যবস্থাও থাকবে।

জামবনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা কনকদুর্গা মন্দির উন্নয়ন সমিতির সহ-সভাপতি সমীর ধল বলেন, “প্রথম পর্যায়ে পুরনো একতলা ভোগ ঘরটির জায়গায় নতুন ভোগ ঘর তৈরি করা হচ্ছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ওই ভবনটির দোতলা তৈরি করা হবে। যাতে আরও বেশি সংখ্যক লোকজন সেখানে বসে ভোগ খেতে পারেন।”

Advertisement

জামবনির চিল্কিগড়ে দুষ্প্রাপ্য গাছগাছড়ার গভীর জঙ্গলের মাঝে রয়েছে কনকদুর্গার প্রাচীন মন্দির। পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে ডুলুং নদী। ধর্মীয় স্থান হলেও পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে এলাকাটি জনপ্রিয়। মন্দির চত্বরে রয়েছে নৌকাবিহার-সহ বিনোদনের বিবিধ উপকরণ। তবে পশ্চিমবঙ্গ জীববৈচিত্র্য পর্ষদের নির্দেশিকা অনুযায়ী, মন্দির চত্বরে আগুন জ্বালানোর নিয়ম নেই। আড়াইশো বছরের ঐতিহ্য মেনে কেবলমাত্র মন্দিরের ভোগ ঘরে কাঠের জ্বালে মাটির উনুনে ভোগ রান্না হয়। সেটাই এই মন্দিরের ঐতিহ্য।

পুরনো ভোগঘরটিরও ভাঙাচোরা বিপজ্জনক অবস্থা। মন্দিরের পূজারী গৌতম ষড়ঙ্গী বলেন, “ভোগ ঘরের বারন্দায় ছয়-সাতজনের বেশি বসে খেতে পারেন না। খুবই সমস্যা হয়।” ভোগঘরের পাচক ত্রিলোচন মহাপাত্র, জোগাড়ে ভুবন খামরই, সন্ধ্যা খামরই-রা বলেন, “উৎসব-পার্বণের দিনে ভোগ প্রত্যাশীদের জায়গা দিতে হিমসিম খেতে হয়। এ বার আশা করি সেই সমস্যা মিটবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন