তৃণমূলের সংঘর্ষে উত্তপ্ত সবং

গত বছর সেপ্টেম্বরে মানসবাবু-সহ কংগ্রেসের একঝাঁক নেতা তৃণমূলে যাওয়ার পর থেকেই নতুন-পুরনো দ্বন্দ্ব বারবার প্রকাশ্যে আসছে। কংগ্রেস ছেড়ে আসা আবু কালাম বক্সকে যুব তৃণমূলের ব্লক সভাপতি করার সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি ব্লকের পুরনো নেতারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০১৭ ০০:৫৯
Share:

তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলে ফের উত্তপ্ত হল সাংসদ মানস ভুঁইয়ার খাসতালুক। রবিবার সবংয়ের দশগ্রাম পঞ্চায়েতের খাউখাণ্ডা গ্রামে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে দলের দুই কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। জখম অবস্থায় তৃণমূলের কিষান খেত মজদুর সংগঠনের অঞ্চল সভাপতি রঞ্জন ঘড়াই ও কর্মী গৌতম মণ্ডলকে সবং গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শনিবার সবংয়ের অনাথবন্ধু অডিটোরিয়ামে মানস ভুঁইয়ার উপস্থিতিতে যুব তৃণমূলের সভায় যাওয়াকে কেন্দ্র করেই এই গোলমাল বলে খবর।

Advertisement

গত বছর সেপ্টেম্বরে মানসবাবু-সহ কংগ্রেসের একঝাঁক নেতা তৃণমূলে যাওয়ার পর থেকেই নতুন-পুরনো দ্বন্দ্ব বারবার প্রকাশ্যে আসছে। কংগ্রেস ছেড়ে আসা আবু কালাম বক্সকে যুব তৃণমূলের ব্লক সভাপতি করার সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি ব্লকের পুরনো নেতারা। যুব তৃণমূলের ডাকা বৈঠকে তাই দেখাও যায় না পুরনো নেতাদের। শনিবারও যুব তৃণমূলের সভায় মানসবাবু-সহ কংগ্রেস থেকে আসা নেতারা থাকলেও অমূল্য মাইতি, প্রভাত মাইতির মতো পুরনো নেতৃত্ব ছিলেন না। অমূল্যবাবুর অনুগামী নেতা, পঞ্চায়েত সদস্যরাও ছিলেন না। ছিলেন না দশগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সঞ্চিতা বাগও। সঞ্চিতাকে ওই সভায় ডাকাও হয়নি। তবে এসেছিলেন রঞ্জন ঘড়াই, গৌতম মণ্ডলদের মতো দশগ্রাম অঞ্চলের তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।

এই নিয়ে এ দিন সকাল থেকে দু’পক্ষের গোলমাল বাধে। অভিযোগ, সকালে রঞ্জন ঘড়াইয়ের বাড়িতে চড়াও হয় কয়েকজন তৃণমূল কর্মী। সেখানেই বচসা থেকে বাধে হাতাহাতি। পরে পড়শি গৌতম মণ্ডলকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে তাঁদের প্রধান সঞ্চিতা বাগের বাড়িতে দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। পরে পুলিশ গিয়ে ওই দু’জনকে উদ্ধার করে। জখম অবস্থায় তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় সবং গ্রামীণ হাসপাতালে। ঘটনায় থানায় অভিযোগ জানান রঞ্জন। তাঁর অভিযোগ, “পঞ্চায়েত প্রধান সঞ্চিতা বাগের নেতৃত্বে সিপিএম থেকে আমাদের দলে আসা হার্মাদরা আমাকে ও গৌতমকে বেধড়ক মারধর করে। প্রধানের বাড়িতে আটকে রেখে মারধর করা হয়েছে। কেন আমরা মানস ভুঁইয়ার উপস্থিতি হওয়া সভায় গিয়েছিলাম সেটাই অপরাধ। অমূল্য মাইতির সভায় কেন আমরা যাই না, সেই প্রশ্নও করা হয়েছে।” যুব তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আবু কালাম বক্সেরও দাবি, “প্রধানের বাড়িতে যখন ঘটনা ঘটেছেছে, তখন প্রধান নিশ্চয়ই এর সঙ্গে যুক্ত। আমার ধারণা, ব্লক নেতৃত্বদের একাংশের এতে মদত রয়েছে।” সঞ্চিতার অবশ্য দাবি, “গ্রামের মধ্যে দু’পক্ষের গোলমাল হচ্ছিল। তাই দু’পক্ষকে বাড়িতে ডেকে কী হয়েছে জানতে চেয়েছিলাম। পরে পুলিশ ডেকে মারধরের মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছে।” আর সবংয়ের তৃণমূল নেতা অমূল্য মাইতির বক্তব্য, “ঘটনাটি অনভিপ্রেত। তবে এ গ্রাম্য বিবাদ।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন