মেদিনীপুর বিদ্যাসাগর হলে কংগ্রেসের কর্মিসভা। নিজস্ব চিত্র
ছিল কর্মিসভা। জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব ভেবেছিলেন, সারা জেলা থেকে মেরেকেটে ১০০০- ১২০০ কর্মী আসবেন। সেই মতোই দুপুরের খাবারের আয়োজন ছিল। কিন্তু বেলা গড়াতেই দেখা গেল অন্য ছবি। সভাঘর উপচে গেল ভিড়ে। বাড়তি চাল ও ডিম আনিয়ে ফের রান্না বসল। মেদিনীপুরে কংগ্রেসের কোনও কর্মিসভায় এই ছবি দীর্ঘদিন দেখা যায়নি বলেই জানাচ্ছে জেলার রাজনৈতিক মহল।
তখন দুপুর একটা। সভাঘরের সামনে উদ্বিগ্ন মুখে ঘোরাঘুরি করছিলেন জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি অনিল শিকারিয়া। ভিড় দেখে তো উচ্ছ্বসিত হওয়ার কথা? সেখানে এত উদ্বেগ? অনিল বলেন, ‘‘এত কর্মী আসবেন বুঝতে পারিনি!’’ সম্প্রতি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেস সভাপতি পদে রদবদল হয়েছে। দলের নতুন জেলা সভাপতি হয়েছেন সৌমেন খান। তার পরপরই মেদিনীপুরে দলের এই সাংগঠনিক সভা। রবিবার মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর হলে এই সভা হয়। ফেস্টুনে ছিল রাহুল গাঁধী, প্রিয়াঙ্কা বঢরার ছবি। মাঝেমধ্যেই রাহুল- প্রিয়াঙ্কার নামে স্লোগান ওঠে। বিভিন্ন ব্লকের কংগ্রেস কর্মীরা বাসে করে, ছোট গাড়িতে করে মেদিনীপুরে পৌঁছন।
এ দিনের সভায় ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা ওমপ্রকাশ মিশ্র। পশ্চিম মেদিনীপুরের কিছু এলাকায় কংগ্রেসের সংগঠন আগে বেশ মজবুতই ছিল। যেমন সবং, খড়্গপুর, ঘাটাল। মানস ভুঁইয়ারা তৃণমূলে চলে যাওয়ার পরে ছবিটা ধীরে ধীরে পাল্টায়। বেশিরভাগ সময় দলের বর্ধিত সভা জেলা কংগ্রেস কার্যালয় চত্বরেই হয়। এ দিনের সভায় ভিড় হবে কি না সেই নিয়েও দলের মধ্যেই সংশয় ছিল। শেষমেশ ভিড় দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন জেলা কংগ্রেস নেতৃত্বও। দলের জেলা নেতা শম্ভুনাথ চট্টোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যায়, ‘‘কংগ্রেস ছিল, আছে, থাকবে- এদিনের সভার ভিড়ই তার প্রমাণ।’’
সভা শেষে জেলা কংগ্রেস সভাপতি সৌমেন খান বলছিলেন, ‘‘সভায় এত ভিড় হবে সত্যিই বুঝতে পারিনি। তাহলে আরও বড় হলঘরে এই সভার ব্যবস্থা করতাম। এ দিনের ভিড়ে লোকসভা ভোটের আগে লড়াই করার বাড়তি রসদ পেয়ে গেলাম আমরা।’’