নিউ দিঘার সৈকতে পর্যটকদের ভিড়। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র
বড় দিনে পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়ল দিঘা, মন্দারমণিতে।
গত কয়েক বছরে সৈকত শহর এমন জনসমাগম দেখেনি, এমনটাই দাবি দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান শিশির অধিকারীর। এর কারণ হিসেবে দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের দাবি, গত এক বছরে দিঘা আরও সুন্দরী হয়েছে। নতুন রূপে দিঘা পর্যটকদের আরও বেশি টানছে। দিঘায় ঢোকার মুখে ওল্ড দিঘায় পুরনো বিশ্ববাংলা পার্কের পাশেই নতুন বিশ্ববাংলা পার্ক বড়দিনে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। বহু পর্যটক এদিন নতুন বিশ্ববাংলা দেখার জন্য ভিড় জমান।
দিঘা থানার পুলিশ ও নুলিয়ারা এদিন সকালে জোয়ারের সময় ওল্ড দিঘায় সমুদ্রে পর্যটকদের নামতে দেননি। সামগ্রিকভাবে এদিন ওল্ড দিঘার চেয়ে নিউ দিঘায় ভিড় ছিল বেশি। কারণ দিঘায় ঢোকা পর্যটকদের সমস্ত বাস এদিন দিঘা বাইপাস দিয়ে হেলিপ্যাড ময়দানের কাছে পার্কিংয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ফলে পর্যটকরা সেখান থেকে অপেক্ষাকৃত কাছে নিউ দিঘায় বেশি ভিড় করেছেন। এদিন মেরিন অ্যাকোয়ারিয়াম, জুরাসিক পার্ক, অমরাবতী পার্ক, সায়েন্স সিটি, রোপওয়ে ও টয়ট্রেন দেখার জন্য কচিকাঁচাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বড়দিনে রেকর্ড ভিড় হবে আন্দাজ করে এ দিন নিরাপত্তা বিষয়ে বাড়তি সতর্ক ছিল প্রশাসন। ওড়িশা সীমানায় দিনভর নাকা তল্লাশি চলে। দিঘা জুড়ে দিনভর টহল দিয়েছে পুলিশ। স্নানের ঘাটগুলোতে অতিরিক্ত নুলিয়া ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল।
কোচবিহার থেকে আসা অনন্ত চক্রবর্তী বলেন, “ দিঘায় এর আগেও এসেছি। কিন্তু নতুন চেহারায় দিঘাকে দেখে আগের চেয়ে আরও ভাল লাগছে। তা ছাড়া নিরাপত্তার এত আঁটোসাটো এর আগে দেখিনি।’’
পর্যটকদের সাহায্যর জন্য দিঘায় ইতিমধ্যেই খোলা হয়েছে বেশ কয়েকটি ‘হেল্প ক্যাম্প’।
ভিড় উপচে পড়ে মন্দারমণিতেও । বহু পর্যটক এদিন এখানে পিকনিক করতে এসেছিলেন। তবে প্রশাসনের নিষেধ সত্ত্বেও পিকনিক পার্টির আবর্জনা ফেলা থেকে সৈকতকে বাঁচানো যায়নি। এ দিন পর্যটকরা যাতে পলিথিন, প্লাস্টিক ও থার্মোকল সৈকতে না ফেলেন তার জন্য রীতিমতো মাইক নিয়ে প্রচার করা হয়।