পরকীয়ায় বাধার অভিযোগ

ঘরে যুবকের গলাকাটা দেহ, ধৃত স্ত্রী

নিজের বাড়ি থেকেই উদ্ধার হল এক যুবকের গলাকাটা দেহ। বুধবার গভীর রাতে তমলুক থানার পিপুলবেড়িয়া গ্রামে ওই ঘটনায় পুলিশ জানিয়েছে, কার্তিক দাস (৩৮) নামে ওই যুবকের গলায় ধারালো অস্ত্রের দাগ রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:৩৪
Share:

নিজের বাড়ি থেকেই উদ্ধার হল এক যুবকের গলাকাটা দেহ। বুধবার গভীর রাতে তমলুক থানার পিপুলবেড়িয়া গ্রামে ওই ঘটনায় পুলিশ জানিয়েছে, কার্তিক দাস (৩৮) নামে ওই যুবকের গলায় ধারালো অস্ত্রের দাগ রয়েছে। ঘটনার সময় বাড়িতেই ছিলেন কার্তিকে স্ত্রী সুপর্ণা দাস। কী ভাবে ঘটনা ঘটল তা জানতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যদিও বৃহস্পতিবার কার্তিকের মা সুপর্ণা ও তাঁর বাবার বিরুদ্ধে ছেলেকে খুনের অভিযোগ দায়ের করার পর সুপর্ণাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

কার্তিকের ভাই নিমাই দাসের অভিযোগ, ‘‘দাদার সঙ্গে বৌদির প্রায়ই ঝগড়া হত। অন্য লোকের সঙ্গে বৌদির সম্পর্ক নিয়ে আপত্তি করাতেই দাদাকে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে।’’ তমলুকের এসডিপিও সুরজিৎ মণ্ডল বলেন, ‘‘বাড়ির ভিতর থেকে ওই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। রাতে ওই ঘটনার সময় বাড়িতেই ছিলেন তাঁর স্ত্রী। ঘটনার বিষয়ে জানতে তাঁকে জেরা করা হচ্ছে। মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।’’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তমলুক শহরের অদূরে তমলুক-পাঁশকুড়া রাজ্য সড়কের পাশে পিপুলবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা কার্তিক ছিলেন পেশায় আখের রস বিক্রেতা। মাস পাঁচেক আগে সুপর্ণার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। অবশ্য কার্তিক ও সুপর্ণা—দু’জনেরই এটা দ্বিতীয় বিয়ে। কার্তিকের প্রথম স্ত্রী বছরখানেক আগে অসুস্থ হয়ে মারা যান। প্রথম পক্ষের ১৫ ও ৪ বছরের দু’টি মেয়েও রয়েছে। সুপর্ণারও বছর তিনেকের একটি ছেলে রয়েছে। সুপর্ণার বাপের বাড়ি স্থানীয় বনমালীকালুয়া গ্রামে। পিপুলবেড়িয়ায় ছেলেকে নিয়েই থাকতেন সুপর্ণা। কার্তিকের দুই মেয়ে পাশের বাড়িতে তাদের ঠাকুমার সঙ্গে থাকত।

Advertisement

পুলিশকে নিমাই জানিয়েছেন, বুধবার রাত দেড়টা নাগাদ সুপর্ণাদেবীর চিৎকার শুনে পাশের বাড়ি থেকে ছুটে এসে তিনি ও প্রতিবেশীরা দেখেন ঘরের মেঝেতে গলা কাটা অবস্থায় পড়ে আছেন তাঁর দাদা। চারদিক রক্তে ভাসছে। খবর পেয়ে তমলুক থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। সুপর্ণাদেবী পুলিশের কাছে দাবি করেন, রাতে জনা তিনেক দুষ্কৃতী বাড়িতে ডাকাতি করতে এসেছিল। তারাই তাঁর স্বামীকে এভাবে মেরেছে। যদিও সুপর্ণাদেবীর কথাবার্তায় নানা অসঙ্গতি ধরা পড়ায় পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়।

পুলিশের দাবি, সুপর্ণাদেবীকে জেরা করে জানা গিয়েছে, অন্য এক যুবকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা জানার পর কার্তিক আপত্তি করেছিলেন। এই নিয়ে পরিবারে অশান্তি ছিল। তার জেরেই বুধবার রাতে কার্তিককে খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানো হয়। ঘুমিয়ে পড়ার পর কার্তিকের গলায় কাটারির কোপ মেরে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান। ঘটনায় আর কারা জড়িত, তা জানতে তদন্ত হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন