হোটেলে অচেনা লোকেদের আনাগোনা নিয়ে অভিযোগ ছিলই। শনিবার বিকেলে এগরা শহরের কলেজ মোড়ের কাছে ওই হোটেলেই অবৈধ যৌন ব্যবসা চলার অভিযোগ পেয়ে হানা দেয় পুলিশ। হোটেল মালিক এগরা পুরসভার প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান রোহিণী মাইতি-সহ পাঁচ জনকে পুলিশ ধরে। চারজন মহিলাকেও হোটেল থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধৃতদের রবিবার কাঁথি আদালতে তোলা হলে চোদ্দো দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়।
পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানান, এগরা শহরের ওই হোটেলের কাছে স্কুল-কলেজ রয়েছে। কয়েকজন অভিভাবক অভিযোগ করেন, ওই হোটেলে বেআইনি কারবার চলছে। তাঁদের ছেলেমেয়েরাও ওই হোটেল যাচ্ছে। অভিযান চালিয়ে হোটেল মালিক-সহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার আরও জানান, হোটেল থেকে উদ্ধার হওয়া মহিলাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ওখানে অবৈধ ব্যবসা চলার প্রমাণ মিলেছে।
এগরা কলেজ থেকে কয়েকশো মিটার দূরে অবস্থিত প্রায় ২০ বছরের পুরনো ওই হোটেলের মালিক রোহিণী মাইতি। ১৯৯৪ সালে এগরা পুরসভার পুর নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে জেতেন তিনি। বামফ্রন্ট পরিচালিত এগরা পুরসভায় তিনি পাঁচ বছর উপ-পুরপ্রধান ছিলেন। পরবর্তী সময়ে পুরসভার ভোটে আর দাঁড়াননি তিনি।