সংশোধনাগারে সমস্যা আছে, স্বীকার এডিজির

সংশোধনাগারে পরিকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে বলে মানলেন এডিজি (কারা) অধীর শর্মা। তাঁর বক্তব্য, “যে পরিকাঠামো থাকা উচিত, সেটা নেই। কিছু সমস্যা রয়েছে। এর মধ্যেই কাজ করতে হবে।” সোমবার মেদিনীপুরে কারা দফতরের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এসেছিলেন এডিজি (কারা)। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৪৪ জন হেড ওয়ার্ডারের হাতে শংসাপত্র তুলে দেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০১৫ ০১:৫৪
Share:

রাষ্ট্রপতি পদক তুলে দিলেন এডিজি (কারা)।—নিজস্ব চিত্র।

সংশোধনাগারে পরিকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে বলে মানলেন এডিজি (কারা) অধীর শর্মা। তাঁর বক্তব্য, “যে পরিকাঠামো থাকা উচিত, সেটা নেই। কিছু সমস্যা রয়েছে। এর মধ্যেই কাজ করতে হবে।”

Advertisement

সোমবার মেদিনীপুরে কারা দফতরের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এসেছিলেন এডিজি (কারা)। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৪৪ জন হেড ওয়ার্ডারের হাতে শংসাপত্র তুলে দেন তিনি। যে পাঁচজন কারা কর্মী-আধিকারিক এ বার রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছেন, তাঁদের হাতেও শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কারা দফতরের ডিআইজি (মেদিনীপুর) বিপ্লব দাস, মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের সুপার স্বরূপ মণ্ডল, প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ চিত্তরঞ্জন গড়াই প্রমুখ।

জেলে পরিকাঠামোগত সমস্যার অভিযোগ নতুন নয়। মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারেও বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। প্রয়োজনের তুলনায় কারারক্ষী রয়েছে কম। ফলে, জেলের নিরাপত্তাও মাঝেমধ্যে প্রশ্নের মুখে পড়ে। এখানে বারোশোরও বেশি বন্দি থাকেন। এঁদের মধ্যে যেমন সাজাপ্রাপ্ত বন্দি রয়েছে, তেমন বিচারাধীন বন্দিও রয়েছে। কখনও কখনও বন্দির অপমৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। জেলের মধ্যে মোবাইল, মাদক পাচারের ঘটনা ঘটে। নিরাপত্তার ফাঁক গলে এ সব জেলের মধ্যে ঢুকে যায়। আর এ সব সরবরাহের ক্ষেত্রে একাংশ জেলকর্মী জড়িত বলেও অভিযোগ ওঠে।

Advertisement

এ দিন এক প্রশ্নের উত্তরে এডিজি (কারা) বলেন, “নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রাজ্যে ৭৭৬ জন কর্মী নিয়োগ হবে। এ জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছিল। ইতিমধ্যে আবেদনের দিন পেরিয়েছে। প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ আবেদন এসেছে। এই সংখ্যক পদে কর্মী নিয়োগ হলে সমস্যার অনেকটাই সমাধান হবে।” বন্দির আত্মহত্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এদিকে নজর রাখাই হয়। চেষ্টা করা হয়, যাঁরা অবসাদে ভুগছেন, তাঁদের কাউন্সেলিং করার।” অন্য দিকে, জেলের মধ্যে মোবাইল-মাদক পাচার প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “জেলের মধ্যে এমন কিছু উদ্ধার হলে জানার চেষ্টা হয় তা কী ভাবে ঢুকল। কোনও কর্মী জড়িত থাকার প্রমাণ মিললে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হয়।” জেলের কর্মীদের যে কখনও কখনও চাপের মধ্যে থেকে কাজ করতে হয়, এ দিন তা-ও মেনেছেন এডিজি (কারা)।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন