ম্যাজিকের মধ্যেই সচেতনতার বার্তা। নিজস্ব চিত্র
শুধু মাইক বা শিবির করে নয়, এ বার মশাবাহিত রোগ ঠেকাতে ম্যাজিকের মাধ্যমে প্রচারে নামল স্বাস্থ্য দফতর। রবিবার দাসপুরের রানিচকে জাদুকর বিএনঘোষ রানিচক গ্রামে একাধিক ম্যাজিক শো করেন। উপস্থিত ছিলেন জেলার উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান।
কেন মশারির টাঙিয়ে ঘুমনো উচিত, কী ভাবে ডেঙ্গি ছড়ায়- ম্যাজিকের মাধ্যমে এ সবই বোঝানো হয়। মশার বংশবৃদ্ধি ঠেকাতে এলাকা পরিষ্কার রাখা, জমা জল দেখলেই তা ফেলে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। রানিচক বাজারে স্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে আয়োজিত ম্যাজিক শো দেখতে ভিড় করেন অনেকে। জাদুকর ম্যাজিকের মাধ্যমেই তাঁদের জানান, মশার কামড় যতই নগণ্য হোক, অবহেলা করবেন না। সবসময় গা ঢাকা পোশাক ব্যবহার করুন। তাহলেই জব্দ হবে মশা।
রানিচক গ্রামে জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই একশো ছাড়িয়েছে। এদের মধ্যে অনেকের ডেঙ্গির উপসর্গও রয়েছে। পুজোর আগে থেকেই গ্রামে জ্বরের প্রকোপ ছড়ালেও প্রথম দিকে তৎপর হয়নি স্বাস্থ্য দফতর। গত বৃহস্পতিবার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা গ্রামের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। তাঁর নির্দেশেই গ্রামে শুরু হয়েছে মেডিক্যাল ক্যাম্প। স্বাস্থ্য দফতরের নজরদারিতে ও রানিচক পঞ্চায়েতের উদ্যোগে গ্রাম পরিষ্কার রাখার কাজও চলছে জোরকদমে। পুকুর থেকে গ্রামের মেঠো রাস্তা- সর্বত্র ছড়ানো হচ্ছে ব্লিচিং পাউডার। পশ্চিম মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্রবাবু বলেন, “পরিস্থিতি আগের তুলনায় এখন অনেকটাই ভাল। উদ্বেগের কোনও কারণ নেই।’’