নার্সিংহোমে মৃত্যুতে তদন্ত

মায়া ওঝা নামে বছর ছাব্বিশের ওই তরুণী বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর শহরের রবীন্দ্রনগরের একটি নার্সিংহোমে মারা যান। তাঁর পরিজনেদের অভিযোগ, চিকিৎসায় অবহেলার জন্যই এই মৃত্যু। মায়ার মৃত্যুর খবর, বাড়ির লোককে অনেক পরে জানানো হয়েছে বলেও অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০১৭ ০২:০২
Share:

প্রতীকী ছবি।

নার্সিংহোমে এক রোগীর মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল আগেই। এ বার সেই ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ জানালেন মৃতের পরিজনেরা।

Advertisement

মায়া ওঝা নামে বছর ছাব্বিশের ওই তরুণী বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর শহরের রবীন্দ্রনগরের একটি নার্সিংহোমে মারা যান। তাঁর পরিজনেদের অভিযোগ, চিকিৎসায় অবহেলার জন্যই এই মৃত্যু। মায়ার মৃত্যুর খবর, বাড়ির লোককে অনেক পরে জানানো হয়েছে বলেও অভিযোগ। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে ওই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান মায়াদেবীর স্বামী নিতাই ওঝা। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি এক চিকিৎসক এবং অ্যানাস্থেটিস্টের বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে পরিজনেদের। নিতাইবাবু বলেন, ‘‘চিকিৎসার গাপিলতিতেই আমার স্ত্রী মারা গিয়েছেন।’’ অভিযোগ খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। জেলা পুলিশের এক কর্তার আশ্বাস, “তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হবে। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

চিকিৎসার অবহেলায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ নতুন নয়। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মাঝেমধ্যেই এমন অভিযোগ ওঠে। শোরগোলও পড়ে। আর শহরের নার্সিংহোমেও ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে আগে। ফের সেই অভিযোগ। অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে রবীন্দ্রনগরের ওই নার্সিংহোমের সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। অবশ্য বড় গোলমাল কিছু হয়নি।

Advertisement

ঘটনাটি ঠিক কী?

পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের গড়মনোহরপুরের শাখারিবাজার এলাকায় বাড়ি মায়ার। তাঁর পিত্তকোষে পাথর ছিল। অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা ছিল বৃহস্পতিবার। সেই মতো বুধবার মেদিনীপুরের ওই নার্সিংহোমে ভর্তি হন মায়া। বৃহস্পতিবার সকালে মায়াকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তখন তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ছিল। পরে অপারেশন থিয়েটারেই মৃত্যু হয় তাঁর। মায়ার স্বামী নিতাইবাবুর কথায়, “চিকিৎসকের কথা মতোই স্ত্রীকে মেদিনীপুরের এই নার্সিংহোমে ভর্তি করেছিলাম। ওটি-তে নিয়েও গিয়েছিল। কিন্তু দু’ঘন্টা পরেও ওটি থেকে স্ত্রীকে বের করা হচ্ছে না দেখে সন্দেহ হয়। কেন হচ্ছে না তা জানতেও চাই। নার্সিংহোমের কর্মীরা জানান, জটিল অস্ত্রোপচার। একটু সময় লাগবে।’’ নিতাইবাবু জানান, জোরাজুরি করতে অনেক পরে জানানো হয়, মায়া মারা গিয়েছেন। এবং চিকিৎসার বাকি টাকা জমা দিয়ে দেহ নিয়ে যেতে বলা হয়।

নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, চিকিৎসায় কোনও গাফিলতি হয়নি। হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে ওই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসক সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়ও বলেন, “চিকিৎসায় ভুল ছিল না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন