শিক্ষিকা নিগ্রহে তদন্ত কেশপুর কলেজের

প্রায় তিন মাসের মাথায় শিক্ষিকাকে হেনস্থার অভিযোগে প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করল কেশপুর কলেজ। কলেজ পরিচালন সমিতি দুই সদস্যের তদন্তকারী দল গঠন করেছে। রয়েছেন পরিচালন সমিতির সভাপতি রজনীকান্ত দোলুই এবং মেদিনীপুর কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ মুকুল রায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:২১
Share:

প্রায় তিন মাসের মাথায় শিক্ষিকাকে হেনস্থার অভিযোগে প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করল কেশপুর কলেজ। কলেজ পরিচালন সমিতি দুই সদস্যের তদন্তকারী দল গঠন করেছে। রয়েছেন পরিচালন সমিতির সভাপতি রজনীকান্ত দোলুই এবং মেদিনীপুর কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ মুকুল রায়। সোমবার তাঁরা কেশপুর কলেজে এসে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী, ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। কথা হয় কলেজের অধ্যক্ষ দীপক ভুঁইয়ার সঙ্গেও।

Advertisement

গত জুলাইতে রসায়নের শিক্ষিকা সুপর্ণা সাধুকে কেশপুর কলেজ চত্বরেই হেনস্থার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা মানস ঘোষ এবং তাঁর দলবদলের বিরুদ্ধে। সুপর্ণাদেবীর ‘অপরাধ’ ছিল তিনি অসুস্থতার জন্য একদিন কলেজে আসেননি। মানস কেশপুর কলেজের টিএমসিপি পরিচালিত ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক। পদাধিকার বলে কলেজ পরিচালন সমিতিরও সদস্য। ওই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে। কেশপুর কলেজে আসেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়, উচ্চশিক্ষা দফতর এবং তৃণমূল প্রভাবিত শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুপার প্রতিনিধিরা। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তও করেছে। সতর্ক করা হয়েছে কেশপুর কলেজের অধ্যক্ষকে।

কলেজের এক সূত্রে খবর, এরপরই তদন্তকারী দল গঠন করে পরিচালন সমিতি। এতদিনে কলেজের নিজস্ব তদন্ত কেন? সদুত্তর এড়িয়ে কেশপুর কলেজের অধ্যক্ষ দীপক ভুঁইয়া বলেন, “কলেজের পরিচালন সমিতি তদন্তকারী দল গঠন করেছিল। সেই দলই কলেজে এসেছিল। সব কিছু খতিয়ে দেখেছে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন