পা ভেঙেছে চিকিৎসকের, অন্তর্বিভাগ বন্ধের নোটিস

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হেঁড়িয়ায় ১১৬ বি দিঘা-নন্দকুমার জাতীয় সড়কের পাশে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র বহু পুরনো।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হেঁড়িয়া শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৪:৪৫
Share:

এই নোটিস ঘিরেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। শুক্রবার হেঁড়িয়ায়। নিজস্ব চিত্র

স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রোগী সামলাতেন দু’জন চিকিৎসক। গত ২৬ জানুয়ারি তাঁদের একজন দুর্ঘটনায় পা ভেঙে শয্যাশায়ী। ফলে একাই রোগীদের সামলাচ্ছিলেন অন্য একজন। কিন্তু রোগীর চাপ আর সামলাতে না পেরে শেষ পর্যন্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ইনডোর পরিষেবা বন্ধ রাখার বিজ্ঞপ্তি ঝুলিয়ে দেওয়া হল। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে খেজুরি-১ ব্লকের হেঁড়িয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হেঁড়িয়ায় ১১৬ বি দিঘা-নন্দকুমার জাতীয় সড়কের পাশে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র বহু পুরনো। সেখানে বহির্বিভাগ ও অন্তর্বিভাগে চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। রোগী ভর্তির জন্য অন্তর্বিভাগে ১০টি শয্যা রয়েছে। শুধু এই এলাকাই নয়, আশপাশের এলাকার লোকজনও এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে উপরে নির্ভরশীল। স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে সুভাষচন্দ্র ঢালি ও অয়ন দে নামে দু’জন চিকিৎসক রয়েছেন। গত রবিবার, সুভাষবাবুর পা ভেঙে যায়। তারপর থেকে তিনি বাড়িতেই শয্যাশায়ী। গত এক সপ্তাহ ধরে একাই রোগীদের পরিষেবা দিয়ে আসছেন অয়নবাবু। শুক্রবার রোগীরা এসে দেখেন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অন্তর্বিভাগে পরিষেবা বন্ধ রাখার নোটিস ঝোলানো রয়েছে। এ বিষয়ে চিকিৎসক অয়ন দে বলেন, ‘‘একজন চিকিৎসক অসুস্থ। এখানে চিকিৎসকের অভাবের কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আমার একার পক্ষে এক নাগাড়ে রোগীর চাপ সামলানো সম্ভব হচ্ছিল না। তাই সমস্যার কথা বিএমওএইচকে জানিয়েই ওই নোটিস দিয়েছি।’’

এক চিকিৎসক এই ধরনের নোটিস দিতে পারেন কি না জানতে চাওয়া হলে খেজুরি-১ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক (বিএমওএইচ) সুমিত্র জানা বলেন, ‘‘ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অন্তর্বিভাগ বন্ধ করার বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। তবে সেখানে একমাত্র চিকিৎসকের পক্ষে রোগীদের পরিষেবা দেওয়ায় সমস্যা হচ্ছিল। বিষয়টি আমরা জেলা স্বাস্থ্য দফতরকেও জানিয়েছি।’’

Advertisement

এ প্রসঙ্গে নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে প্রতিক্রিয়া জানার জন্য ফোন করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন খেজুরি-১ এর বিডিও তীর্থঙ্কর রায়। জেলা পরিষদের সদস্য ও স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম দাশ বলেন, ‘‘ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসকের অভাব জনিত সমস্যা রয়েছে। তাই জরুরি পরিষেবা দিতে রোগীদের কামারদা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নতুন একজন চিকিৎসককে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়োগের চেষ্টা হচ্ছে। তবে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এ ধরনের নোটিস দেওয়ার সঙ্গে প্র‌শাসনের কোনও সম্পর্ক নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন