বাহিনী কম, অভিযোগ দিলীপের

রবিবার খড়্গপুরের ঝাপেটাপুর কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় থেকে ইভিএম নিয়ে ভোটকর্মীরা যে যার বুথে পৌঁছে যান। কমিশন সূত্রে খবর, খড়্গপুরের ২০৪টি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে। বাকি ৬৬টি বুথে থাকবে শুধু রাজ্য পুলিশ। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০১৯ ০০:০১
Share:

দিলীপ ঘোষ। —ফাইল চিত্র

আজ, সোমবার খড়্গপুর সদর বিধানসভা উপ-নির্বাচন। এসেছে ৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিরোধীদের দাবি, ২৭০টি বুথ আগলাতে ওই বাহিনী যথেষ্ট নয়। আতঙ্কিত ভোটকর্মীরাও।

Advertisement

রবিবার খড়্গপুরের ঝাপেটাপুর কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় থেকে ইভিএম নিয়ে ভোটকর্মীরা যে যার বুথে পৌঁছে যান। কমিশন সূত্রে খবর, খড়্গপুরের ২০৪টি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে। বাকি ৬৬টি বুথে থাকবে শুধু রাজ্য পুলিশ। একটি ভোটকেন্দ্রে তিনটি বুথ থাকলে সেখানে ৪ জন ও তিনের বেশি বুথ থাকলে ৮ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান থাকবেন। এছাড়া ওই কেন্দ্রগুলিতে বুথপিছু একজন করে লাঠিধারী পুলিশ থাকবেন। যে বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে না সেখানে দু’জন সশস্ত্র ও দু’জন লাঠিধারী পুলিশ থাকছেন।

রবিবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশন খড়্গপুরে অন্তত ১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী দেবে বলেছিল। আমরা সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য আবার চিঠি লিখেছি।’’ তবে খড়্গপুরের নির্বাচনী আধিকারিক তথা মহকুমাশাসক বৈভব চৌধুরীর আশ্বাস, বাহিনী বুথে মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি জানান, অতিরিক্ত বাহিনী আসার খবর নেই।

Advertisement

শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনী কম থাকার অভিযোগ নয়, এ বার সব বুথে ওয়েব কাস্টিংও থাকছে না। যে সব বুথে রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট হবে শুধু সেখানেই ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। ফলে ভোটদান চলাকালীন সঠিক নজরদারি হবে কি না সেটা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। এ দিনই এক ভোটকর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্বেগের কারণেই অসুস্থ হয়ে যান তিনি। শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, “আমরা প্রতিটি বুথে বাহিনী দিতে বলেছিলাম। পূর্ব অভিজ্ঞতা বলছে, যে বুথে রাজ্য পুলিশ থেকেছে সেখানেই অশান্তি হয়েছে।”

যে ৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে তাতে কোনও মহিলা জওয়ান নেই। তাই মহিলা পরিচালিত ১০টি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের সঙ্গে একজন করে লাঠিধারী মহিলা পুলিশ থাকবেন। মহিলা পরিচালিত বুথগুলি নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে। খড়্গপুরের রেলওয়ে বালিকা বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্র চারটি মহিলা বুথ রয়েছে। সেখানে রবিবার মাত্র চারটি ক্লাসঘর মহিলাদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। এক মহিলা ভোটকর্মীর ক্ষোভ, “পানীয় জলের অভাব রয়েছে। ক্লাসঘর অপরিচ্ছন্ন।’’ একই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, ‘‘কাচের জানালা দিয়ে বাইরে থেকে সব দেখা যাচ্ছে।’’

খড়্গপুরের মালঞ্চ অমরজ্যোতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে আসেন জ্যোতিন্দ্রনাথ দাস নামে এক ভোটকর্মী। তিনি জানান, দু’টি বুথে ১২০০ ভোটার। তার জন্য ২ জন সশস্ত্র ও ২জন লাঠিধারী রাজ্য পুলিশ দেওয়া হয়েছে। স্কুলবাড়িও থাকার অযোগ্য। একটিই ঢোকা-বেরনোর পথ। কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন ছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন