গুজবে গণপিটুনি, রুখতে মরিয়া পুলিশ

রবি এবং সোমবার ওই দুই এলাকায় গুজবের ফের গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খেজুরি শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:৫৬
Share:

চলছে মাইক প্রচার।

পোস্টার পড়েছে। মাইকে প্রচার চালাচ্ছে পুলিশ। কিন্তু তাতে আমজনতার মধ্যে সচেতনতা যে এতটুকুও বাড়েনি, তার প্রমাণ মিলল খেজুরি এবং মায়াচরে। রবি এবং সোমবার ওই দুই এলাকায় গুজবের ফের গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, রবিবার রাতে খেজুরি থানার হলুদ বাড়ি গ্রামে বছর পঞ্চাশের এক ব্যক্তিকে স্থানীয়েরা রাস্তায় উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরতে দেখেন। গ্রামবাসীদের তাতে সন্দেহ হয়। ওই ব্যক্তিকে ডেকে তাঁরা প্রশ্ন করেন। কিন্তু সদুত্তর না মেলায় গ্রামবাসীদের সন্দেহ গাঢ় হয় এর পরেই ছেলেধরা সন্দেহে ওই ব্যক্তিকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। খেজুরি থানার পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি ভবঘুরে। নিজের নাম তিলক বলে জানিয়েছেন তিনি। ওই ব্যক্তি এক চোখে দেখতে পান না বলে পুলিশের দাবি। তিলকের বাড়ির ঠিকানা জানা যায়নি।

সোমবার সকালে খেজুরি থানার পূর্ব ভাঙ্গনমারি গ্রামে ৭০ বছরের এক বৃদ্ধকে গ্রামের মধ্যে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় বলে অভিযোগ। পুলিশের দাবি, ওই বৃদ্ধ মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি কানেও ঠিক মত শুনতে পান না। ফলে গ্রামবাসীদের প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে চলে যাচ্ছিলেন। এর পরেই গ্রামবাসীরা ওই বৃদ্ধকে ধরে মারধর করে বলে অভিযোগ। এক্ষেত্রেও খবর পেয়ে খেজুরি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই বৃদ্ধকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ জানিয়েছে, সেই বৃদ্ধের বাড়ি ভগবানপুর থানার নুনবাড় গ্রামে। দিন দশেক আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছেন।

Advertisement

আবার, এ দিন সকালেই মহিষাদল থানার মায়াচরে এক মহিলাকে ছেলেধরা সন্দেহে আটকে রেখে মারধর করার খবর আসে। মহিষাদল থানা থেকে হাওড়ার শ্যামপুর থানাকে ফোন করে জানানো হয় রূপনারায়ণে ভাটা চলায় নৌকা চলাচল করতে পারছে না। মায়াচরে গিয়ে শ্যামপুর থানার পুলিশ ওই মহিলাকে উদ্ধার করে থানায় আনে। পুলিশের দাবি, ছেলেধরা গ্রামে ঢুকেছে বলে গুজব ক্রমশ ছড়াচ্ছে। তার সঙ্গে লড়তে মরিয়া পুলিশ। এ দিন বিকেল থেকেই পুলিশ খেজুরি থানার মাইকে প্রচার করা শুরু করেছে। তাতে গুজবে কান না দিয়ে গুজব ছড়াতে বারণ করা হচ্ছে। সন্দেহজনক কিছু দেখলে পুলিশকে খবর দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। কাঁথির এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “আমরা গ্রামবাসীদের সচেতনতার জন্য প্রচার শুরু করেছি। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন