corona virus

স্থানীয়দের বাধা, শেষে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দেহ সৎকার  

করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত বৃদ্ধের শেষকৃত্যে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্থানীয়দের বিরুদ্ধে। প্রায় ১৫ ঘণ্টা পড়ে থাকার পর পুলিশ-প্রশাসনের উপস্থিতিতে অন্ত্যেষ্টি হয় ওই বৃদ্ধর।   

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পাঁশকুড়া, গেঁওখালি শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২০ ০০:২২
Share:

প্রতীকী চিত্র

একদিন আগে কোলাঘাটে করোনা আক্রান্তের দেহ সৎকারে বাধা দিয়েছিলেন স্থানীয়েরা। শেষে বিডিওকে ডাকতে হয়েছিল সর্বদল বৈঠক। পাঁশকুড়াতেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে। সেখানে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত বৃদ্ধের শেষকৃত্যে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্থানীয়দের বিরুদ্ধে। প্রায় ১৫ ঘণ্টা পড়ে থাকার পর পুলিশ-প্রশাসনের উপস্থিতিতে অন্ত্যেষ্টি হয় ওই বৃদ্ধর।

Advertisement

পাঁশকুড়ার পুরুষোত্তমপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ফকিরগঞ্জের বাসিন্দা গুরুপদ মেট্যা (৬৭) বৃহস্পতিবার বিকেলে মারা যান। তিনি কলকাতায় ফলের ব্যবসা করতেন। বুধবার সামান্য জ্বর অবস্থায় কলকাতা থেকে পাঁশকুড়ার বাড়িতে ফিরে আসেন গুরুপদ। তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। পরিবারের লোকজন চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান তাঁকে। কিন্তু পরে তিনি মারা যান।
বৃদ্ধের দেহ সৎকারে বাধা দেন স্থানীয়েরা। অভিযোগ, গ্রামের শ্মশানে দেহ সৎকার করা যাবে না বলে জানিয়ে দেন স্থানীয়েরা। গুরুপদের বাড়ি সংলগ্ন এলাকার রাস্তাঘাট বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। প্রায় ১৫ ঘণ্টা পরেও দেহ দাহ করতে না পেরে মৃতের পরিবার বিষয়টি প্রশাসনকে জানায়। তাঁদের দাবি, ব্রেন স্ট্রোকে মারা গিয়েছেন গুরুপদ। মৃতের ছেলে গৌতম মেট্যা বলেন, ‘‘সামান্য জ্বর ছিল ঠিকই। তবে বাবা ব্রেন স্ট্রোকে মারা গিয়েছেন। স্থানীয়েরা বাধা দেওয়ায় পুলিশ শেষকৃত্য করেছে।’’
প্রশাসনের হস্তক্ষেপে শুক্রবার মৃতদেহটি প্লাস্টিকে মুড়ে গ্রামের অদূরে দাহ করা হয়। ওই ঘটনা নিয়ে দিনভর ফকিরগঞ্জে ছিল চাপা আতঙ্ক। স্থানীয় মানুষজন নিজেরাই এলাকা স্যানিটাইজ় করতে শুরু করেন। যদিও পাঁশকুড়ার ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য আধিকারিক শচীন্দ্রনাথ রজক বলেন, ‘‘ওই ব্যক্তি করনায় মারা যাননি। ওঁর ব্রেন স্ট্রোক হয়েছিল।’’ পাঁশকুড়ার বিডিও ধেনধুপ ভুটিয়া বলেন, ‘‘প্রশাসনের উদ্যোগে করোনা সুরক্ষা বিধি মেনে দেহটি দাহ করা হয়েছে।’’
অন্যদিকে, প্রায় ঘণ্টা ১৫ পরে এ দিন শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে গেঁওখালির আরেক করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত ব্যক্তির। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বাড়িতেই মৃত্যু হয় ওই মিষ্টি ব্যবসায়ীর। কয়েকদিন ধরে তিনি জ্বরে ভুগছিলেন। তাঁর করোনা পরীক্ষার জন্য লালারস সংগ্রহ করা হলেও সেই রিপোর্ট এসে পৌঁছয়নি। মৃত্যুর পর ওই ব্যবসায়ীর শেষকৃত্যে প্রতিবেশী থেকে প্রশাসন, কেউ এগিয়ে আসেননি বলে অভিযোগ পরিবারের। শেষে এ দিন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা এবং পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে ওই ব্যক্তির দেহ কবর দেওয়া হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন