পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইলে না শিক্ষকদেরও

এখন হাতে হাতে স্মার্টফোন। আর তার কারিকুরিতে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। তাই মাধ্যমিকের মতো উচ্চ মাধ্যমিকেও মোবাইল ব্যবহারে কড়াকড়ি থাকছে। পরীক্ষার্থীরা তো বটেই পরীক্ষাকক্ষে মোবাইল নিয়ে ঢুকতে পারবেন না শিক্ষকেরাও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর ও তমলুক শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৭ ০০:০৮
Share:

এখন হাতে হাতে স্মার্টফোন। আর তার কারিকুরিতে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। তাই মাধ্যমিকের মতো উচ্চ মাধ্যমিকেও মোবাইল ব্যবহারে কড়াকড়ি থাকছে। পরীক্ষার্থীরা তো বটেই পরীক্ষাকক্ষে মোবাইল নিয়ে ঢুকতে পারবেন না শিক্ষকেরাও। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের পশ্চিম মেদিনীপুরের আহ্বায়ক সুজিত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ থাকছে। পরীক্ষার্থীরা মোবাইল নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রেই ঢুকতে পারবে না। শিক্ষকদেরও মোবাইল প্রধান শিক্ষকের ঘরে জমা রাখতে হবে। সংশ্লিষ্ট সকলকে এ কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।” নির্দেশ অমান্য হলে? সুজিতবাবুর জবাব, “সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল হতে পারে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে।”

Advertisement

আজ, বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। চলবে ২৯ মার্চ পর্যন্ত। সুষ্ঠু ভাবে পরীক্ষা পর্ব মেটাতে ইতিমধ্যে জেলাস্তরে বৈঠক হয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সেখানেও। শুধু মোবাইল নয়, পরীক্ষাকেন্দ্রে ক্যালকুলেটর নিয়ে ঢোকাও নিষিদ্ধ। পরীক্ষার দিনগুলিতে পরীক্ষাকেন্দ্রের কাছাকাছি জেরক্সের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উচ্চ মাধ্যমিকের ‘স্পর্শকাতর’ কেন্দ্রগুলিতে গোপন ক্যামেরা থাকবে। জেলার স্কুল পরিদর্শক অমরকুমার শীল জানান, প্রতিটি পরীক্ষাগ্রহণ কেন্দ্রে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। পুলিশও মোতায়েন থাকবে।

Advertisement

আরও পড়ুন: দৃষ্টিহীনদের ‘আলো’র দিশারী দুই কলেজ ছাত্র

এ বার পূর্ব মেদিনীপুরে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। এ বার জেলায় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৯,৫৭৩ জন। গত বছরের মতো এ বারও জেলায় ছাত্রের চেয়ে ছাত্রীর সংখ্যা বেশি। ছাত্রীর সংখ্যা যেখানে ২১,১৩৮ জন, সেখানে ছাত্রের সংখ্যা ১৮,৪৩৫ জন। মোট ৬৫ টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে প্রধান কেন্দ্র ৫২টি। উপ কেন্দ্র রয়েছে ১৩টি।

জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) সুজিতকুমার মাইতি বলেন, ‘‘জেলায় স্পর্শকাতর কেন্দ্র একটিও নেই। ৬৫টি কেন্দ্রেই মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর নিয়ে ঢোকা নিষিদ্ধ। পরীক্ষার দিনগুলোতে সুষ্ঠু পরিবহণ ব্যবস্থা চালু রাখার জন্য পরিবহণ দফতরের সঙ্গে কথা হয়েছে।’’

উচ্চ মাধ্যমিক কেন্দ্রগুলিতেও দু’জন করে স্বাস্থ্যকর্মী থাকবেন বলেও জানা গিয়েছে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল জানান, কোনও পরীক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রাথমিক চিকিৎসা করবেন। প্রয়োজনে অসুস্থ পরীক্ষার্থীকে নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন