দিল্লির লড়াইয়ে ঠোকাঠুকি জেলায়

পশ্চিম মেদিনীপুরের অনেক বিজেপি নেতা- কর্মীও সোশ্যাল মিডিয়ায় নামের আগে ‘চৌকিদার’ লিখেছেন। যেমন উমাশঙ্কর রায়।

Advertisement

বরুণ দে

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৯ ০০:০৬
Share:

পারদ চলছে সোশ্যালে। নিজস্ব চিত্র

ভোটের মরসুমে নাম বদলের হিড়িক। কেউ হচ্ছেন চৌকিদার। কেউ আবার বেরোজগার। আর এই চৌকিদার-বেরোজগারের এর তাল ঠোকাঠুকিতে তাতছে ভোটের হাওয়া!

Advertisement

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছিলেন, চৌকিদার তিনি একা নন, দেশের সব নাগরিকই চৌকিদার। মোদীর এই ঘোষণার পরই নামের সঙ্গে ‘চৌকিদার’ শব্দটি জোড়ার ধুম পড়ে যায়। বিজেপির নেতা থেকে কর্মী, সবাই নামের সঙ্গে ‘চৌকিদার’ শব্দ জুড়তে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। পশ্চিম মেদিনীপুরের অনেক বিজেপি নেতা- কর্মীও সোশ্যাল মিডিয়ায় নামের আগে ‘চৌকিদার’ লিখেছেন। যেমন উমাশঙ্কর রায়। এক সময়ে তৃণমূল করতেন। পরে বিজেপিতে যোগ দেন। তিনি এখন দলের তরফে খড়্গপুর মধ্য মণ্ডলের পর্যবেক্ষক। কেন নামের আগে ‘চৌকিদার’ উপাধি জোড়া? উমাশঙ্কর বলছিলেন, ‘‘মোদীজির প্রতি ভালবাসা থেকেই নামের আগে চৌকিদার শব্দটি জুড়েছি।’’ তাঁর কথায়, ‘‘কাউকে বলতে হচ্ছে না। অনেকেই এ ভাবে নামের আগে চৌকিদার শব্দটি জুড়ছেন।’’

বিজেপির অনেকে আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় মোদীর সঙ্গে নিজের ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘ম্যায় ভি চৌকিদার’। বিজেপির জেলা সম্পাদক অরূপ দাস যেমন এ ভাবে ‘ম্যায় ভি চৌকিদার’ লিখেছেন। অরূপের কথায়, ‘‘চৌকিদারের হাতেই দেশ সুরক্ষিত।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

বিজেপিকে পাল্টা বিঁধতে ছাড়ছে না বিরোধী-শিবির। বিরোধীদের খোঁচা, মোদী তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ ভাগাভাগি করে নিতে চাইছেন। তাই এ ভাবে চৌকিদার সংক্রান্ত প্রচার করেছেন। বিরোধী- শিবিরের বক্তব্য, রাহুল গাঁধীর ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ স্লোগানটি জনপ্রিয় হয়ে উঠতেই প্রমাদ গোনে বিজেপি। এরপরই আসরে নামে বিজেপি। দলের নেতা- কর্মীদের ‘চৌকিদার’ উপাধি গ্রহণে বাধ্য করা শুরু হয়! চৌকিদারের পাল্টা হিসেবে বিরোধী- শিবিরের অনেকে আবার নিজেদের নামের আগে ‘বেরোজগার’ শব্দটি জুড়ে দিচ্ছেন। যেমন প্রসেনজিৎ মুদি। প্রসেনজিৎ সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য। অনেকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন, সম্প্রতি গুজরাতের নেতা হার্দিক পটেলও নিজের নামের আগে ‘বেরোজগার’ লিখেছেন। প্রসেনজিৎ বলছিলেন, ‘‘রোজগার নেই। তাই আমরা বেরোজগার!’’ তাঁর কথায়, ‘‘২০১৪ সালের ভোটের আগে প্রতি বছর দেশে দু’কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। প্রায় পাঁচ বছর পর সেই প্রতিশ্রুতি কতটা পূরণ হয়েছে তা নিয়ে সাধারণ মানুষই প্রশ্ন তুলছেন।’’ এ ভাবে নামের আগে ‘বেরোজগার’ উপাধি জুড়ে বেকারত্বের মতো বিষয়গুলো সামনে নিয়ে আসছে বিরোধী-শিবির। মোদী সরকারের ব্যর্থতাকে তুলে ধরাই এর উদ্দেশ্য।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন