প্রতীকী চিত্র।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের রোড-শোয়ে হামলা এবং দলীয় কর্মীদের মারধরের ঘটনায় তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হল। বিজেপি সূত্রের খবর, মঙ্গলবারের ওই ঘটনায় খেজুরির তৃণমূল বিধায়ক রণজিৎ মণ্ডল-সহ তাঁর দলের কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন কাঁথির বিজেপি প্রার্থী দেবাশীষ সামন্ত। মঙ্গলবারের তৃণমূল এবং বিজেপি’র ‘সংঘর্ষে’র ঘটনায় পুলিশও স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে একটি মামলা দায়ের করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূ্ত্রের খবর, মঙ্গলবার বিকেলে খেজুরির তল্লাব্রিজ থেকে তেখালি হয়ে বিদ্যাপীঠ পর্যন্ত দেবাশীষের একটি বাইক র্যালির অনুমতি ছিল। বিজেপির অভিযোগ, কুঞ্জপুর বাজারের কাছে তৃণমূলের বিধায়ক রণজিৎ মণ্ডলের নেতৃত্বে একদল লোক তাদের মিছিল বন্ধ করতে হুমকি দেন। তা উপেক্ষা করে মিছিল এগোনোর চেষ্টা করতেই হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। রণজিতের দেহরক্ষী বন্দুক উঁচিয়ে হুমকি দেন বলেও দাবি।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
দেবাশীষের উপরে হামলার খবর পেয়ে নন্দীগ্রামে রোড-শো করতে যাওয়া দিলীপ, অসমের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা-সহ কর্মীরা সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কনভয় কুঞ্জপুর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে তেঁতুলতলা বাজারের কাছে পৌঁছলে তৃণমূল সমর্থকেরা তাঁদের আক্রমণ করেন বলে অভিযোগ। ভাঙচুর করা হয় দিলীপের গাড়িতে। পরে কুঞ্জপুর বাজারে পৌঁছলে ফের একপ্রস্থ গোলমাল বাধে। বুধবার খেজুরি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন দেবাশীষ। দেবাশীষের কথায়, ‘‘সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত আমাদের র্যালির অনুমতি ছিল। পুলিশের উপস্থিতিতে আমাদের আক্রমণ করা হয়েছে।’’ বিজেপি’র অভিযোগ, তৃণমূলের হামলায় খেজুরি-২ ব্লকের কটকা দেবীচক গ্রামের বিজেপির বুথ সভাপতি লালমোহন মাইতি এবং তাঁর ছেলে শক্তিপদ মাইতিকে মারধর করা হয়।
এ দিন গোয়ালতোড়ে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে রোড শো করেছিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। রাজ্যে যত সন্ত্রাস হচ্ছে, তা মুখ্যমন্ত্রীর মদতেই হচ্ছে।’’ তাঁর দাবি, দিলীপ ঘোষের হামলার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীকে আগে গ্রেফতার করতে হবে। রাজ্য বিজেপি’র দুই নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার এবং শিশির বাজোরিয়াও এ দিন নির্বাচন কমিশনে এ বিষয়ে অভিযোগ জানান। তাঁদের দাবি, পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক এবং এসপি’কে সরানো হোক।
তৃণমূলের অভিযুক্ত বিধায়ক রণজিতের অবশ্য বক্তব্য, ‘‘বিজেপি প্রার্থীর মিছিলে থাকা কর্মীরা লাঠি নিয়ে আমার গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। সে সময়ে আমার নিরাপত্তারক্ষী প্রথমে বাধা দেন। আর ওঁরা সময় পার হওয়ার পরেও মিছিল করছিলেন।’’ তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অভিযোগ প্রসঙ্গে রণজিৎ বলেন, ‘‘আমরাও পাল্টা অভিযোগ জানাব।’’
গোটা ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও বুধবার রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।